যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র দিয়ে গাজায় জাতিসংঘের স্কুলে হামলা ইসরায়েলের

ইসরায়েলের হামলার পর বিধ্বস্ত জাতিসংঘের স্কুলের একাংশ। আজ বৃহস্পতিবার গাজার নুসেইরাত শরণার্থীশিবিরেছবি: রয়টার্স

গাজার মধ্যাঞ্চলে নুসেইরাত শরণার্থীশিবিরের একটি স্কুলে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে অন্তত ৪৫ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া অস্ত্র ব্যবহার করে ইসরায়েল এ হামলা চালিয়েছে বলে সিএনএনের বিশ্লেষণে উঠে এসেছে।

স্থানীয় সময় বুধবার রাতে নৃশংস এ হামলা চালানো হয়। শরণার্থীশিবিরের স্কুলটি পরিচালনা করে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ)। হামলার সময় স্কুলটিতে বাস্তুচ্যুত অনেক ফিলিস্তিনি অবস্থান করছিলেন। আহত ব্যক্তিদের কাছের আল-আকসা মার্টার্স হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজা কর্তৃপক্ষ।

হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলও। ওই স্কুলে হামাসের তৎপরতা ছিল বলে দাবি করেছে তারা। এ দাবি স্বতন্ত্রভাবে যাচাই করতে পারেনি সিএনএন। তবে ঘটনাস্থল থেকে ধারণ করা ভিডিও বিশ্লেষণ করে এবং একজন বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞের বরাতে মার্কিন সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, এ হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া অস্ত্র ব্যবহার করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

ভিডিওটি ধারণ করেছেন সিএনএনের এক সাংবাদিক। তাতে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি অন্তত দুটি জিবিইউ-৩৯ এসডিবি বোমার ধ্বংসাবশেষ শনাক্ত করা গেছে। এ নিয়ে গত দুই সপ্তাহের মধ্যে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলায় দুবার যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়টি নিশ্চিত করল সিএনএন। এর আগে গত ২৬ মে রাফায় আশ্রয় নেওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপর মার্কিন অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েল।

আরও পড়ুন

মধ্য গাজায় সিএনএনের হয়ে কাজ করা এক সাংবাদিক জানিয়েছেন, ওই স্কুলে অন্তত তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। সেগুলো তিনতলা একটি ভবনে আঘাত হেনেছে। এই স্কুল এবং এর প্রাঙ্গণে প্রায় ২০ হাজার ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছেন বলে মনে করা হয়।

হামলার শিকার স্কুলটিতে আশ্রয় নেওয়া ফিলিস্তিনি জাবের আবু দাহের বলেন, ‘আমরা এখানে ঘুমাচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখলাম রকেট পড়ছে। আমি শিশুসন্তানকে নিয়ে নিচে নেমে আসি। দুজনই আহত হয়েছি। ঘরের ভেতরে থাকা আমার এক আত্মীয় নিহত হয়েছেন।’ তিনি প্রশ্ন করেন, শিশু ও বৃদ্ধরা ইসরায়েলের কী ক্ষতি করেছে? তারা কেন শিশু ও বৃদ্ধদের ওপর হামলা চালাচ্ছে?