রুশদির ওপর হামলাকারীর সঙ্গে তেহরানের কোনো সংযোগ নেই: ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সালমান রুশদি
ছবি: রয়টার্স ফাইল ছবি

ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক সালমান রুশদিকে হামলার ঘটনায় আটক হওয়া সন্দেহভাজন হামলাকারীর সঙ্গে কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগ ‘সুস্পষ্টভাবে’ অস্বীকার করেছে ইরান। আজ সোমবার তেহরানে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেছেন। তাঁর মতে, হামলার শিকার হওয়ার জন্য সালমান রুশদি নিজেই দায়ী। খবর এএফপির।

গত শুক্রবার সালমান রুশদির ওপর হামলার পর লেবানিজ বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক হাদি মাতারকে (২৪) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি ‘পূর্বপরিকল্পিতভাবে হামলা’ করেছেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে হাদি মাতার হত্যার উদ্দেশ্যে হামলার কথা অস্বীকার করেছেন।

আজ সংবাদ সম্মেলনে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখপাত্র নাসের কানানি বলেন, ‘এ হামলার সঙ্গে কোনো সংযোগ থাকার অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করছি আমরা। ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানকে অভিযুক্ত করার অধিকার কারও নেই।’

সালমান রুশদির ওপর হামলার পর এটি তেহরানের পক্ষ থেকে দেওয়া প্রথম আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া।

কানানি আরও বলেন, ‘এ হামলার জন্য সালমান রুশদি এবং তাঁর সমর্থকেরা ছাড়া অন্য কাউকে আমরা দায়ী বলে বিবেচনা করতে এবং নিন্দা জানাতে পারছি না। ইসলামের পবিত্র বিষয়গুলোকে অবমাননা এবং এ ধর্মের দেড় শ কোটি অনুসারীর লাল রেখা ছাড়িয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে সালমান রুশদি নিজেই নিজেকে মানুষের ক্ষোভের মুখে ঠেলে দিয়েছেন।’

ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক রুশদি ২০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। ১৯৮১ সালে তাঁর দ্বিতীয় গ্রন্থ ‘মিডনাইট’স চিলড্রেন’-এর জন্য বুকার পুরস্কার জেতেন তিনি। তবে ১৯৮৮ সালে তাঁর চতুর্থ বই ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ প্রকাশের পর থেকে সালমান রুশদি হত্যার হুমকি পেয়ে আসছিলেন। ইরানের সাবেক সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খোমেনি ১৯৮৯ সালে রুশদির বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের ফতোয়া দিয়েছিলেন। ইসলাম অবমাননার দায়ে রুশদিকে হত্যার জন্য মুসলিমদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। এর জন্য পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছিল। তখন থেকে বেশ কয়েক বছর পুলিশি সুরক্ষায় চলাফেরা করতেন রুশদি।