ইরানের রাজতন্ত্রবাদীরা কেন ইসরায়েলের পক্ষে

ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান সংঘাতে ইসরায়েলকে সমর্থন দিচ্ছেন ইরানের রাজতন্ত্রবাদীরা। দেশটির শেষ শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলাভির ছেলে রেজা পাহলাভির অনুসারী তাঁরা। এই রাজতন্ত্রবাদীরা কেন ইসরায়েলের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন, তাঁদের এই অবস্থান ইরানিদের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে আদৌ মেলে কি না কিংবা ইরানের সরকারবিরোধীদের মধ্যে তাঁদের গ্রহণযোগ্যতা কতটুকু, তা নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেছেন ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল পলিসির জ্যেষ্ঠ গবেষক সিনা তুসি।

রেজা পাহলাভি ও ইসরায়েলের গোয়েন্দাবিষয়ক মন্ত্রী গিলা গামলিয়েল। গত বছর জেরুজালেমেছবি: এপি

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের নৃশংস হামলায় ৩০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এর প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্বজুড়ে বিক্ষোভে নেমেছেন লাখ লাখ মানুষ। শান্তি ও ন্যায়বিচারের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন তাঁরা। অন্যদিকে ইরানের একটি গোষ্ঠীর কাছ থেকে বিস্ময়করভাবে সমর্থন পাচ্ছে ইসরায়েল—তারা দেশটির রাজতন্ত্রবাদী।

গাজা সংঘাতে ইসরায়েলের পক্ষ নেওয়া এই গোষ্ঠী রেজা পাহলাভির অনুসারী। তিনি ইরানের শেষ শাহ (রাজা) মোহাম্মদ রেজা পাহলাভির ছেলে। ১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামি বিপ্লবে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন মোহাম্মদ রেজা পাহলাভি।

ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বিভিন্ন সমাবেশে ইরানের পুরোনো পতাকা হাতে দেখা গেছে এই রাজন্ত্রবাদীদের। ইসরায়েল ও দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রশংসাও করেছেন তাঁরা। এ থেকে মূলধারার ইরানি ও তাঁদের মতবিশ্বাসের ফারাকটা উঠে এসেছে। ইরানিরা ঐতিহাসিকভাবে ফিলিস্তিনকে সমর্থন করে আসছেন।

ইসরায়েলের প্রতি ইরানের রাজতন্ত্রবাদীদের এই পক্ষপাতের কারণে তাঁদের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ ছাড়া দেশটির সরকারবিরোধীদের মধ্যে তাঁদের অবস্থান কতটা শক্তিশালী, তা নিয়েও প্রশ্ন করছেন অনেকে।

বিরোধীদের মধ্যে বিভক্তি

ইরান সরকারের বিরোধীদের মধ্যে বিভিন্ন ভাগ রয়েছে। বিরোধী পক্ষে রাজতন্ত্রবাদীদের মতো রয়েছেন প্রজাতন্ত্রের পক্ষের ব্যক্তিরাও। এই আদর্শগত ভিন্নতা তাঁদের একতায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। একই কারণে সংঘাতময় তিক্ত সম্পর্কেও জড়িয়েছেন তাঁরা। ফলে দেখা দিয়েছে বিভক্তি।

গত ডিসেম্বরে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান কারাবন্দী ইরানি নারী অধিকারকর্মী নার্গিস মোহাম্মাদি। ডিসেম্বরে নার্গিসের পক্ষে নোবেল পুরস্কার গ্রহণ করেন তাঁর স্বামী ও দুই সন্তান। এ সময় সুইডেনের রাজা ও রানির সঙ্গেও দেখা করেছিলেন তাঁরা।

ইসরায়েল সফরে রেজা পাহলাভি মুসলমানদের পবিত্র মসজিদ আল-আকসার বদলে ওয়েস্টার্ন ওয়ালে (ইহুদিদের প্রার্থনাস্থল) গিয়ে প্রার্থনা করেছিলেন।

সে সময় নার্গিস ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ইন্টারনেটে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছিলেন ইরানের রাজতন্ত্রবাদীদের অনেকে। নার্গিসের এই গ্রহণযোগ্যতা মেনে নিতে পারেননি তাঁরা। তাঁদের ভাষ্য ছিল, ‘নার্গিস মোহাম্মাদি ইরানিদের প্রতিনিধি নন।’ এ কথাও বলেন যে ‘রাজা রেজা পাহলাভি আমাদের আসল প্রতিনিধি।’

ডিসেম্বরে এই প্রচার-প্রচারণায় নতুন মাত্রা যুক্ত হয়। রেজা পাহলাভির স্ত্রী ইয়াসমিন পাহলাভি ইনস্টাগ্রামে প্রশ্ন তোলেন—কারাগারে থেকেও নার্গিস কীভাবে মার্কিন অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলিকে সাক্ষাৎকার দেন। তিনি আসলে রাজনৈতিক বন্দী নন, বরং ইরান সরকারের হাতের পুতুল।

রেজা পাহলাভির স্ত্রী ইয়াসমিন পাহলাভি
ফাইল ছবি: এএফপি

নার্গিস মোহাম্মাদির মতো ইরানের গণতন্ত্রপন্থীদের নিয়ে রাজতন্ত্রবাদীদের এই বিরোধিতার মূলে রয়েছে তাঁদের রাজনৈতিক ও আদর্শিক বৈপরীত্য। রাজতন্ত্রবাদীরা মনে করেন, রেজা পাহলাভি ইরানের যুবরাজ এবং প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা। তাঁর নেতৃত্বে ইরানের সরকারবিরোধী আন্দোলন ঐক্যবদ্ধ হবে। নিষেধাজ্ঞাসহ ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নানা কঠোর পদক্ষেপেরও সমর্থন করেন তাঁরা।

রেজা খান্দান নামের ইরানের এক অধিকারকর্মী বলেছেন, রাজতন্ত্রবাদীরা ‘সুযোগসন্ধানী’ এবং ‘ইরানের জনগণের থেকে বিচ্ছিন্ন’।

সেদিক দিয়ে নার্গিস মোহাম্মাদির চিন্তাভাবনা ভিন্ন। তিনি ইরানের সংস্কারবাদী আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। বিগত নির্বাচনগুলোয় হাসান রুহানি ও মির হোসেইন মাউসাভির মতো মধ্যপন্থী ও সংস্কারবাদী প্রার্থীদের সমর্থন করেছেন। ইরানের অর্থনীতিকে আঘাত করে—এমন কোনো নিষেধাজ্ঞার পক্ষেও তিনি নন।

রেজা পাহলাভির স্ত্রী ইয়াসমিন পাহলাভি ইনস্টাগ্রামে যেভাবে নার্গিসকে আক্রমণ করেছিলেন, তা কিন্তু নতুন নয়। এর আগেও ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের লোকজনের প্রতি বৈরী মনোভাব প্রকাশ করেছেন তিনি। গত নভেম্বরে ওয়াশিংটনে ইসরায়েলপন্থী একটি সমাবেশে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। এ সময় তাঁর হাতে ছিল ইসরায়েলের পতাকা।

গাজায় চলমান সংঘাত শুরুর পর থেকেই ইরানের রাজতন্ত্রবাদীরা ইসরায়েলের প্রতি কড়া সমর্থন জানিয়েছেন। ইসরায়েলের পক্ষে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে সমাবেশ করেছেন তাঁরা। অনলাইনেও প্রচারণা চালাচ্ছেন। ওয়াশিংটনে পাহলাভিপন্থী সংগঠন ন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর ডেমোক্রেসি ইন ইরান (এনইউএফডিআই) তো ফিলিস্তিনপন্থীদের ‘ফিলিস্তিনি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী সমর্থক’ তকমা দিয়েছে।

সন্দেহজনক গতিবিধি

শাহ মোহাম্মাদ রেজা পাহলাভি ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত ইরান শাসন করেছেন। জ্বালানি, নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় ইসরায়েলের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন তিনি। একই সঙ্গে ফিলিস্তিনের সমর্থনেও সোচ্চার ছিলেন। স্নায়ুযুদ্ধের সময় মোহাম্মাদ রেজা পাহলাভি যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ নেন।

অন্যদিকে তাঁর সন্তান রেজা পাহলাভি ও তাঁর অনুসারীরা সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ইসরায়েলের দিকে আরও ঝুঁকেছেন। ইসরায়েলকে তাঁরা একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে দেখেন। নিজেদের এই অবস্থান দেশের ভেতরে এবং আঞ্চলিকভাবে কী প্রভাব ফেলছে, তা-ও মাথায় নেন না।

এটা আরও দুঃখজনক যে আজ ক্ষমতায় না থেকেও তাঁরা (রাজতন্ত্রবাদী) অন্যদের সহ্য করতে পারছেন না। বিরোধীদের গ্রহণ করতে পারছেন না। তাঁরাই যদি আগামীকাল ক্ষমতায় আসেন, তাহলে তাঁরা কীভাবে নিজেদের আইনের শাসন, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের রক্ষাকর্তা হিসেবে দাবি করবেন?
—সাদেগ জিবাকালাম, তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক

রাজতন্ত্রবাদীদের ইসরায়েলপন্থী অবস্থান আরও জোরদার হয়েছে গত বছরের এপ্রিলে রেজা পাহলাভি ও তাঁর স্ত্রীর ইসরায়েল সফরের পর। দেশটিতে দুজনকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়েছিল। ওই সফরে রেজা পাহলাভি মুসলমানদের পবিত্র মসজিদ আল-আকসার বদলে ‘ওয়েস্টার্ন ওয়ালে’ (ইহুদিদের প্রার্থনাস্থল) গিয়ে প্রার্থনা করেছিলেন।

আর ইয়াসমিন পাহলাভি অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমে ইসরায়েলের একজন নারী সেনার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে লিখেছিলেন, ‘নারী, জীবন, স্বাধীনতা।’ ইরানে পুলিশি হেফাজতে তরুণী মাসা আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদে আন্দোলনে এই স্লোগান প্রথম ব্যবহার করা হয়েছিল। ইয়াসমিন পাহলাভি ইসরায়েলকে নিয়ে একই স্লোগান ব্যবহার করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মাসা আমিনির মৃত্যুর পর রাজপথে নামা বিক্ষোভকারীরা।

ইসরায়েল সফরে রেজা পাহলাভি সঙ্গে নিয়েছিলেন তাঁর উপদেষ্টা আমির এতেমাদি ও ইসরায়েলপন্থী গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ফাউন্ডেশন ফর ডিফেন্স অব ডেমোক্রেসিসের (এফডিডি) কর্মকর্তা সাইদ গাসেমিনেজাদকে। ফিলিস্তিনবিরোধী দৃষ্টিভঙ্গির কারণে দুজনই বিতর্কিত। এমনকি ‘ফিলিস্তিনের ধ্বংস’ চেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্টও করেছিলেন তাঁরা।

ইসরায়েল সফরে রেজা পাহলাভি ও তাঁর স্ত্রী ইয়াসমিন পাহলাভি
ফাইল ছবি: এএফপি

জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন

ইরানের জনমানুষের যে আকাঙ্ক্ষা, তার সঙ্গে খুব কম মিল রয়েছে দেশটির রাজতন্ত্রবাদীদের। তাঁরা ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রপন্থী। ফিলিস্তিনে নৃশংসতার সঙ্গে যুক্ত ইসরায়েল। আর ইরানের বর্তমান সরকারের উৎখাত চায় ওয়াশিংটন। এ কারণেই সরকারবিরোধীদের মধ্যে একঘরে হয়ে পড়েছেন রাজতন্ত্রবাদীরা।

যেমন গত নভেম্বরে ইরানের নয়জন রাজনৈতিক বন্দী কারাগার থেকে একটি চিঠি লিখেছিলেন। তাতে ‘গাজায় ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞের’ নিন্দা জানানো হয়েছিল। একই সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করার আহ্বান জানানো হয়েছিল।

ওই ৯ বন্দীর মধ্যে ছিলেন ইরানের নারী অধিকারকর্মী আনিশা আসাদোল্লাহি, মানবাধিকারকর্মী ও লেখক গুলরুখ ইরায়ি, শ্রমিক অধিকারকর্মী রেজা শাহাবি ও সাংবাদিক আরাশ জোহারি। রাজতন্ত্রবাদীদের প্রতি ইঙ্গিত করে চিঠিতে তাঁরা বলেন, ‘পশ্চিমা সামরিক বাহিনীর হামলায় সামাজিক অবকাঠামো ধ্বংসের পর মূলত সেখান থেকে সুবিধা নিতে চাইছে এই লোকগুলো। দেখে মনে হয় গত দুই দশকে আফগানিস্তান ও ইরাক যুদ্ধ থেকে তারা কিছুই শেখেনি।’

রেজা খান্দান নামের ইরানের আরেক অধিকারকর্মী বলেছেন, রাজতন্ত্রবাদীরা ‘সুযোগসন্ধানী’ এবং ‘ইরানের জনগণের থেকে বিচ্ছিন্ন’। এদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য বিশ্বব্যাপী যে আহ্বান উঠেছে, তাতে সমর্থন জানিয়েছেন নার্গিস মোহাম্মাদি। আর তাঁর স্বামীসহ ৬০ জনের বেশি গণতন্ত্রপন্থী একটি চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন। তাতে ‘গাজা সংকটকে অজুহাত হিসেবে কাজে লাগিয়ে ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরুর যে প্রচেষ্টা’ চলছে, তার নিন্দা জানানো হয়েছে।

নার্গিস মোহাম্মদির পক্ষে তাঁর দুই সন্তান—কিয়ানা রহমানি ও আলী রহমানির হাতে নোবেল শান্তি পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
ছবি: এএফপি

শত্রুর শত্রু যখন বন্ধু নয়

রেজা পাহলাভির কর্মকাণ্ড ইরানের জনগণের বড় বিরোধিতার মুখে পড়েছে। মাসা আমিনির মৃত্যুর পর আন্দোলনেও তাঁর বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দেখা গেছে। যেমন আন্দোলনের সময় অংশগ্রহণকারীরা বলেছেন, ‘শাহ কিংবা নেতা (আয়াতুল্লা আলী খামেনি)—যে-ই হোক না কেন, জুলুমবাজের মৃত্যু চাই।’

ইরানের অনেক অধিকারকর্মী ও সরকারের সমালোচকও রাজতন্ত্রবাদীদের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। তাঁদের মতে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের কাছ থেকে পাওয়া সমর্থন রাজতন্ত্রবাদীদের বৈধতা ও গ্রহণযোগ্যতার অভাবকেই তুলে ধরেছে। একই সঙ্গে তাঁরা যে ইরানিদের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার প্রতি সম্মান করেন না, তা পরিষ্কার হয়েছে।
নার্গিস মোহাম্মাদিকে নিয়ে ইনস্টাগ্রামে ইয়াসমিন পাহলাভি যে পোস্ট করেছিলেন, তার সমালোচনা করে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক সাদেগ জিবাকালাম বলেন, নার্গিসের ‘বুদ্ধিবৃত্তিক স্বাধীনতার’ কারণেই তাঁকে সহ্য করতে পারেন না রাজতন্ত্রবাদীরা।

সরকারের সমালোচনার কারণে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল সাদেগ জিবাকালামকে। এ কারণে কারাগারেও ছিলেন তিনি। এই শিক্ষক বলেন, ‘এটা আরও দুঃখজনক যে আজ ক্ষমতায় না থেকেও তাঁরা (রাজতন্ত্রবাদী) অন্যদের সহ্য করতে পারছেন না। বিরোধীদের গ্রহণ করতে পারছেন না। তাঁরাই যদি আগামীকাল ক্ষমতায় আসেন, তাহলে তাঁরা কীভাবে নিজেদের “আইনের শাসন”, “স্বাধীনতা” ও “গণতন্ত্রের” রক্ষাকর্তা হিসেবে দাবি করবেন?’