সৌদি স্থপতিকে বিয়ে করছেন জর্ডানের ভাবী বাদশাহ

জর্ডানের যুবরাজ হুসেইন বিন আবদুল্লাহ ও তাঁর বাগ্‌দত্তা রাজওয়া আল সাইফ
ফাইল ছবি: এপি

বিয়ে করছেন মধ্যপ্রাচ্যের দেশ জর্ডানের যুবরাজ। যুবরাজ হুসেইন বিন আবদুল্লাহ। কনে সৌদি আরবের স্থপতি রাজওয়া আল সাইফ। আজ বৃহস্পতিবার জর্ডানের রাজধানী আম্মানের প্রাসাদে জমকালো আয়োজনে এক হবে হুসেইন ও রাজওয়ার চার হাত।
হুসেইন জ্বালানি তেলসমৃদ্ধ জর্ডানের ভবিষৎ বাদশা। তাঁর বয়স ২৮ বছর, আর হবু স্ত্রী রাজওয়ার বয়স ২৯ বছর। তাঁদের এ বিয়ের মাধ্যমে জর্ডানের সঙ্গে প্রতিবেশী সৌদি আরবের কৌশলগত মিত্রতা আরও জোরদার হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

এটা শুধু একটি বিয়ের আয়োজন নয়। এটা জর্ডানের ভবিষ্যৎ বাদশাহকে সবার সামনে তুলে ধরার একটি রাজকীয় আয়োজন।
আমের সাবাইলেহ, জর্ডানের রাজনৈতিক বিশ্লেষক

রাজকীয় বিয়ের এ আয়োজন ঘিরে সেজে উঠেছে পুরো আম্মান। পথের ধারে, বাসে বর-কনেকে অভিনন্দন জানিয়ে ব্যানার-ফেস্টুন টানানো হয়েছে। কেননা, সাম্প্রতিক সময়ে এটাই জর্ডানের রাজপরিবারে সবচেয়ে আলোচিত ও জাকজমকপূর্ণ বিয়ের আয়োজন।
বিয়েতে কনে রাজওয়া কোন পোশাক পরবেন, কোন ফ্যাশন ডিজাইনারকে বেছে নেবেন, সেই বিষয়ে রাজপরিবারের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। তবে সাধারণ মানুষের মধ্যে এ নিয়ে আগ্রহ অনেক। ২৮ বছর বয়সী আইনের ইন্টার্ন ন্যান্সি তিরিনা বলেন, রাজওয়ার চালচলন ও পোশাকের সেলাই পরীক্ষা করে তাঁর পুরো সপ্তাহটা কেটেছে।

বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ ও রানি রানিয়ার বড় ছেলে যুবরাজ হুসেইন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জটাইন ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করেছেন। সামরিক প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। রাজনীতি–সচেতন হুসেইন জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দিয়েছেন। দেশে-বিদেশে দারুণ জনপ্রিয় তিনি।

ন্যান্সি তিরিনা আরও বলেন, ‘তিনি (রাজওয়া) খুব সুন্দর। ভীষণ মার্জিত। তাঁর শারীরিক ভাষা থেকে বোঝা যায়, তিনি আমাদের রানিকে (রানিয়া) কতটা ভালোবাসেন।’ রানি রানিয়া যুবরাজ হুসেইনের মা। সামাজিক কর্মকাণ্ড ও ফ্যাশনের জন্য রানি রানিয়ার খ্যাতি বিশ্বজোড়া।

যুবরাজ হুসেইন বিন আবদুল্লাহ ও তাঁর বাগ্‌দত্তা রাজওয়া আল সাইফকে অভিনন্দন জানিয়ে পথের ধারে ব্যানার টানানো হয়েছে। ৩১ মে, জর্ডানের রাজধানী আম্মানে
ছবি: এপি

যুবরাজ হুসেইনের বিয়ের আমেজ যেন পেয়ে বসেছে পুরো জর্ডানের মানুষকে। আনন্দে মেতেছেন তাঁরা। আয়োজন করা হয়েছে কনসার্ট। এ আয়োজনে অংশ নিতে যাওয়ার আগে ন্যান্সি তিরিনা বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে, জর্ডানের সবাই যেন বিয়ে করতে যাচ্ছে।’

বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ ও রানি রানিয়ার বড় ছেলে যুবরাজ হুসেইন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জটাইন ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করেছেন। সামরিক প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। রাজনীতি–সচেতন হুসেইন জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দিয়েছেন। দেশে-বিদেশে দারুণ জনপ্রিয় তিনি। তাই হুসেইনের বিয়ে জর্ডানবাসীর জীবনে আনন্দের উপলক্ষ এনে দিয়েছে।

জর্ডানের রাজনৈতিক বিশ্লেষক আমের সাবাইলেহ বলেন, ‘এটা শুধু একটি বিয়ের আয়োজন নয়। এটা জর্ডানের ভবিষ্যৎ বাদশাহকে সবার সামনে তুলে ধরার একটি রাজকীয় আয়োজন।’ তাই তো যুবরাজের বিয়ে উপলক্ষে আজ জর্ডানে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।