ইরাকে ইরানপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠীর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলা

ইরাকের হিল্লা শহরে আজ মঙ্গলবার হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্রছবি: রয়টার্স

ইরাকে ড্রোন হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। এতে ইরাকের নিরাপত্তা বাহিনীর এক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৮ জন। তাঁদের মধ্যে বেসামরিক লোকজনও রয়েছেন। আজ মঙ্গলবার এ হামলা চালানো হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে বাগদাদ। ইরাকের ‘সার্বভৌমত্বের ওপর এ ধরনের হামলা অগ্রহণযোগ্য’ উল্লেখ করে দেশটির সরকার বলেছে, এতে করে দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষতি হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র আড্রিয়েন ওয়াটসন বলেন, শিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠী কাতাইব হিজবুল্লাহর তিনটি স্থাপনাসহ কয়েকটি স্থানে বিমান হামলা চালানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, ইরানপন্থী বিভিন্ন গোষ্ঠীর ওই সব স্থাপনা থেকে মার্কিন বাহিনীর ওপর হামলা চালানো হতো।

গতকাল সোমবার ইরাকের এরবিল বিমানঘাঁটিতে কাতাইব হিজবুল্লাহর হামলার জবাবেই আজকের হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। কাতাইব হিজবুল্লাহর হামলায় তিন মার্কিন সেনা আহত হয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর।

অস্টিন বলেন, মার্কিন সেনাদের ওপর হামলার জন্য দায়ী ইরানপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে দমন করতে প্রয়োজনীয় মাত্রায় হামলা চালানো হবে। নিজেদের লোকজন ও অবকাঠামো রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পুরোপুরি প্রস্তুত ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। সেদিন থেকেই ফিলিস্তিনের গাজায় নির্বিচার হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর পর থেকে এ অঞ্চলে অবস্থান করা যুক্তরাষ্ট্র ও দেশটির মিত্রবাহিনীর ওপর বেশ কয়েকটি হামলা হয়েছে। জবাবে ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানপন্থীদের বিভিন্ন স্থাপনাকে হামলার লক্ষ্যবস্তু বানাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

এর আগে গতকাল সিরিয়ায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা সাইদ রাজি মৌসাভি নিহত হন। রাজধানী দামেস্কের বাইরে ওই হামলা চালানো হয়। সিরিয়ায় ইরানের শীর্ষ কমান্ডার হিসেবে কাজ করতেন সাইদ রাজি মৌসাভি। তিনি সিরিয়া ও ইরানের মধ্যকার সামরিক জোটের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করতেন।

আরও পড়ুন