ইসরায়েলে হামলার তথ্য যুক্তরাষ্ট্রকে দিয়েছিল সৌদি আরব

ইরান ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার পর ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্রবিধ্বংসী ব্যবস্থা সক্রিয় হয়। আশকেলন, ইসরায়েল, ১৩ এপ্রিলছবি: রয়টার্স

ইসরায়েলে হামলার দুই দিন আগেই সৌদি আরব ও উপসাগরীয় দেশগুলোকে জানিয়েছিলেন ইরানের কর্মকর্তারা। যাতে হামলার সময় এসব দেশ তাদের আকাশসীমা রক্ষা করতে পারে। কিন্তু সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) সে তথ্য যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়ে দিয়েছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী পত্রিকা দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলের সংবাদপত্র হারেৎজ। সৌদি আরব ও মিসরের একাধিক সূত্রের সঙ্গে কথা বলেছে দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। তারা জানিয়েছে, বেশ কয়েকটি আরব দেশের সরকার আশঙ্কা করছিল, ইসরায়েলকে সহায়তা করলে ইরানের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হতে পারে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার পর সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত হামলার গোয়েন্দা তথ্য জানাতে রাজি হয়।

আরও পড়ুন

হামলার সময় যুক্তরাষ্ট্রসহ যেসব দেশ প্রতিরোধের সঙ্গে জড়িত ছিল, তাদের আকাশপথ ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিল জর্ডান। শুধু তা-ই নয়, ইসরায়েলের দিকে ছোড়া ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে জর্ডান নিজেদের যুদ্ধবিমান দিয়েও সহযোগিতা করেছে।

আরও পড়ুন

১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের কাছে ইরানের কনস্যুলেটে হামলা চালানো হয়। ওই হামলার জন্য সরাসরি ইসরায়েলকে দায়ী করছে ইরান। এর জবাবে গত শনিবার ইসরায়েলের ভূখণ্ডে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান।

ইসরায়েল বলেছে, ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রবাহিনী প্রায় সব অস্ত্রই লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার আগেই ভূপাতিত করেছে।