নিজেদের মাটি থেকে ইসরায়েলে প্রথম ইরানি হামলা: আইডিএফের সাবেক মুখপাত্র

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) সাবেক মুখপাত্র জোনাথন কনরিকাস

ইরান নিজেদের ভূখণ্ড থেকে প্রথমবারের মতো সরাসরি ইসরায়েলে হামলা করছে। এটি ‘নতুন মধ্যপ্রাচ্যের’ প্রথম দিন। অর্থাৎ এর মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে নতুন যুগের সূচনা হলো।

বিবিসি নিউজ চ্যানেলকে কথাগুলো বলেছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) সাবেক মুখপাত্র জোনাথন কনরিকাস। তাঁর মতে, ইরানের এই হামলা মধ্যপ্রাচ্যের মাটিতে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশকে টেনে আনবে।

জোনাথন কনরিকাস বলেন, ইরান থেকে ইসরায়েলের উদ্দেশ্যে শতাধিক ড্রোন ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। এসব প্রতিহত করতে ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যস্ত সময় পার করছে।

ইরানের এই হামলা প্রতিহত করতে ইসরায়েলের পরিকল্পনা বা প্রস্তুতি ছিল কিনা—এমন প্রশ্নে জোনাথন কনরিকাস বলেন, তাঁর বিশ্বাস এ ধরনের আকস্মিক হামলা মোকাবিলায় ইসরায়েলের সামরিক পরিকল্পনা ভালো। তবে সব সময়ই যে, তাদের কৌশল সেরা হবে বা তাদের কৌশল প্রকাশ করবে তা বলা যাবে না।

জেরুজালেমের আকাশে ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রকে লক্ষ্যভ্রষ্ট করছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা
ছবি: ভিডিও থেকে

জোনাথন বলেন, ‘আমি ইরানের কাছ থেকে ইরানের মাটি থেকে এ ধরনের পদক্ষেপ আশা করিনি। এটি এই সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশগুলোকে টেনে আনবে।’

জোনাথন মনে করেন, চলমান পরিস্থিতিতে ইসরায়েলের ও তার মিত্রদের বেশ কয়েকটি পরিকল্পনা রয়েছে। এগুলোর বাস্তবায়ন নির্ভর করছে, ইরানের পরবর্তী পদক্ষেপের ওপর।

তবে জোনাথন মনে করেন, ইরান ও ইসরায়েলের এই সংঘাত পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে তার চূড়ান্ত রূপ নির্ভর করছে এই হামলায় ইসরায়েলের কতটুকু ক্ষতি হলো এবং ইসরায়েলে কীভাবে এর বদলা নিতে চায় তার ওপর।

জোনাথন মনে করেন, ইরানের এই সামরিক পদক্ষেপ লেবাননের হিজবুল্লাহ ও ইয়েমেনের হুতি যোদ্ধাদের আরও সশস্ত্র করে তুলবে—যা উদ্বেগের।