গাজায় শরণার্থীশিবিরে ইসরায়েলের হামলায় নিহত ৮০: হামাস

২ নভেম্বরও আল–ফাখুরা স্কুলে ইসরায়েল বোমা হামলা চালিয়েছিল। স্কুলটি এখন বাস্তুচ্যুত গাজাবাসীর আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
ফাইল ছবি: রয়টার্স

গাজার উত্তরাঞ্চলে শরণার্থীশিবিরে স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার ইসরায়েলের চালানো হামলায় ৮০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন হামাসের স্বাস্থ্যবিষয়ক কর্মকর্তা। এই শরণার্থীশিবিরে জাতিসংঘ পরিচালিত একটি স্কুলও ছিল। স্কুলটি ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে গৃহহীনদের আশ্রয়শিবির হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলোর সত্যতা যাচাই করেছে এএফপি। এসব ভিডিওতে আবাসিক ভবনের মেঝেতে রক্ত ও ধুলামাখা অবস্থায় মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। জাবালিয়া শরণার্থীশিবিরেও ধ্বংসযজ্ঞ দেখা গেছে।

গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ বলছে, হামলায় এ পর্যন্ত ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের বেসামরিক নাগরিক। এ ছাড়া ২৪০ জনকে জিম্মি করা হয়েছে।

তবে হামাস সরকার বলেছে, ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর বিমান ও স্থল অভিযানে ১২ হাজার ৩০০ জন নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৫ হাজারের বেশি শিশু।

জাতিসংঘের মানবিক ত্রাণবিষয়ক প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস গাজায় হামলায় হতাহতের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন।

৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় গাজার স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ওই দিন থেকেই গাজায় নির্বিচার হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। হামলার প্রতিবাদে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ, মিছিল ও সমাবেশ করেছেন শান্তিকামী মানুষ।