সৌদি আরবে সামাজিক মাধ্যমে পোস্টের জেরে শিক্ষকের ২০ বছরের কারাদণ্ড

সৌদি আরবের পতাকাফাইল ছবি: রয়টার্স

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনামূলক পোস্ট করার জেরে সৌদি আরবে একজন শিক্ষককে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) এবং দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির ভাই গতকাল মঙ্গলবার এ খবর জানান।

ওই ব্যক্তির নাম আসাদ আল–ঘামদি। ৪৭ বছর বয়সী শিক্ষক আসাদের বাড়ি সৌদি আরবের জেদ্দায়। ২০২২ সালের নভেম্বরে এক রাতে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। ওই সময় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানায় নিউইয়র্কভিত্তিক এইচআরডব্লিউ।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কর্মকাণ্ডের জেরে গত বছর আসাদের ভাই মোহাম্মদকে মৃত্যুদণ্ড দেন সৌদি আরবের একটি আদালত। সরকারের সমালোচক হিসেবে পরিচিত তিনি।

সৌদি আরবের বিশেষায়িত অপরাধ আদালতে গত ২৯ মে দোষী সাব্যস্ত করা হয় আসাদকে। এইচআরডব্লিউ বলেছে, সন্দেহভাজন সন্ত্রাসবাদীদের বিচারে ২০০৮ সালে এ আদালত প্রতিষ্ঠা করা হয়।

এইচআরডব্লিউ আরও বলেছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শান্তিপূর্ণ পোস্ট দিয়েছেন আসাদ আল–ঘামদি। এরপরও তাঁকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সংস্থাটি জানিয়েছে, যেসব পোস্টের কারণে আসাদকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে, সেসবের মধ্যে সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের উচ্চাভিলাষী ‘ভিশন ২০৩০’ সংস্কার প্রকল্প নিয়ে পোস্টও রয়েছে।

সৌদি আরবের অন্যতম প্রভাবশালী মানবাধিকার কর্মী আবদুল্লাহ আল–হামিদকে স্মরণ করেও একটি পোস্ট দিয়েছিলেন আসাদ। দেশটির কারাগারে বন্দী অবস্থায় মারা যান আল–হামিদ। এ পোস্টের বিষয়বস্তুও আদালতের আমলে আনা হয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কর্মকাণ্ডের জেরে গত বছর আসাদের ভাই মোহাম্মদকে মৃত্যুদণ্ড দেন সৌদি আরবের একটি আদালত। সরকারের সমালোচক হিসেবে পরিচিত তিনি।

আসাদের আরেক ভাই সায়েদ সৌদি আরবে একজন ইসলামি চিন্তাবিদ ও সরকারের সমালোচক হিসেবে পরিচিত। তিনি যুক্তরাজ্যে নির্বাসিত জীবন কাটাচ্ছেন। সৌদি সরকারের সর্বশেষ ওই পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছেন তিনি।