ফিলিস্তিন–ইসরায়েল বন্দী বিনিময় নিয়ে আলোচনার সময় এখনো আসেনি: কাতার

ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হামাসের রাজনৈতিক কার্যালয়ের এক কর্মকর্তার দাফনের সময় ফিলিস্তিনি নারীর আহাজারি। ১০ অক্টোবরে খান ইউনিসে
ছবি: রয়টার্স

কাতার বলেছে, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে বন্দী বিনিময় নিয়ে আলোচনা শুরুর সময় এখনো আসেনি। হামাস প্রায় ১৫০ ইসরায়েলিকে বন্দী করেছে বলে গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে।

গত শনিবার গাজা থেকে ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। জবাবে গাজায় নির্বিচার বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। ইতিমধ্যে সংঘাতে দুই পক্ষে প্রায় ১ হাজার ৭০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ বিন মোহাম্মদ আল–আনসারিকে বন্দী বিনিময়ের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, মধ্যস্থতার জন্য সময়টা খুব ‘তাড়াতাড়ি’ হয়ে যায়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ মুহূর্তে কোনো পক্ষ মধ্যস্থতার বিষয়ে আলোচনা করবে—এমন বলা কঠিন। আমি মনে করি, আমাদের মাঠের ঘটনাবলির দিকে এখন নজর রাখা প্রয়োজন।’

বন্দী করে গাজায় নিয়ে আসা ইসরায়েলিদের নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি সামনে আসে। হামাস ইতিমধ্যে সতর্ক করে বলেছে, গাজায় আগাম সতর্কতা ছাড়া বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ইসরায়েল বিমান হামলা চালালে বন্দীদের হত্যা করা হবে।

ইসরায়েলি বাহিনী গাজার ওপর নির্বিচার বোমা হামলা চালাচ্ছে। এতে আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত ১৪০ শিশুসহ ৭০০ শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

গতকাল সোমবার একটি সূত্র জানিয়েছিল, কাতার বন্দী বিনিময়ের বিষয়ে আলোচনায় মধ্যস্থতা করতে পারে। ওই দিন কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান আল–থানি ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আবদুল্লাহিয়ানের সঙ্গে বৈঠক করেন। ইরান সরকার ইতিমধ্যে হামাসের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।