গাজা পরিস্থিতি নিয়ে আবারও কথা বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও কাতারের আমির

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনএএফপি ফাইল ছবি

গাজা পরিস্থিতি নিয়ে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে আলাপ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ফিলিস্তিন ভূখণ্ডটিতে দীর্ঘ মেয়াদে যুদ্ধ বন্ধ করতে হামাসের হাতে জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করা জরুরি বলে তাঁরা একমত হয়েছেন।

হোয়াইট হাউসের দেওয়া এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়েছে।
গত শুক্রবার কাতারের আমিরের সঙ্গে আলাপ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুই নেতা একমত হয়েছেন যে দীর্ঘমেয়াদি মানবিক যুদ্ধবিরতি এবং গাজাজুড়ে বেসামরিক মানুষদের জন্য জীবন রক্ষাকারী মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে জিম্মিদের মুক্তি–সংক্রান্ত চুক্তিটি মূল ভূমিকা রাখবে।

জিম্মিদের মুক্তির ব্যাপারে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে আরেকটি চুক্তির জন্য আলোচনা করতে সম্প্রতি বাইডেনের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক উপদেষ্টা ব্রেট ম্যাকগার্ক দোহায় গিয়েছিলেন। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কারবিও গত মঙ্গলবার বলেছেন, গাজায় জিম্মিদের মুক্তি এবং ত্রাণ সরবরাহ নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্র একটি দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধবিরতি চুক্তির পক্ষপাতী।

গত শুক্রবার মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গেও কথা বলেছেন বাইডেন। হোয়াইট হাউসের বিবৃতি থেকে জানা গেছে, তাঁরা গাজাজুড়ে মানবিক সহায়তার সরবরাহ আরও বাড়ানোর প্রচেষ্টা জোরদার করা নিয়ে আলোচনা করেছেন। মানবিক সহায়তার ব্যাপারে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় অব্যাহত রাখতে সম্মত হয়েছেন তাঁরা।

এদিকে ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যা ঠেকানোর ব্যবস্থা নিতে গতকাল ইসরায়েলকে নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)। নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে অবস্থিত এ আদালতের আদেশে গণহত্যা ঠেকানোর ব্যবস্থা নিতে ইসরায়েলকে নির্দেশ দেওয়া হলেও গাজায় অভিযান বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়নি।

আদালতের আদেশের পর কী ব্যবস্থা নেওয়া হলো, তা এক মাসের মধ্যে আইসিজেতে জানাতে ইসরায়েলের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপর গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এ হামলায় গাজা উপত্যকায় ২৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাঁর বেশির ভাগই নারী ও শিশু।