নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা গর্হিত অপরাধ: সৌদি যুবরাজ
সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বলেছেন, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েল যেভাবে নির্বিচার বোমা হামলা চালাচ্ছে তা স্পষ্টতই গর্হিত অপরাধ। ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলমান সংঘাতের বিস্তার ঘটলে তার পরিণতি বিপজ্জনক হবে বলে সতর্ক করেছেন তিনি।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এসপিএর প্রতিবেদন অনুযায়ী, গতকাল বৃহস্পতিবার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সঙ্গে এক বৈঠকে এমন মন্তব্য করেন যুবরাজ।
ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাজ্যের অব্যাহত সমর্থনের অংশ হিসেবে একই দিন তেল আবিব সফরে গিয়ে ইসরায়েলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পর সৌদি আরব সফরে যান ঋষি সুনাক।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে যুবরাজ সালমান বলেন, গাজার বেসামরিক নাগরিকদের নিশানা করে ইসরায়েলের বোমা বর্ষণকে সৌদি আরব গর্হিত অপরাধ ও পাশবিক হামলা হিসেবে বিবেচনা করছে। একই সঙ্গে গাজায় এসব নিরীহ মানুষের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
সংঘাতের বিস্তার ঠেকাতে সম্ভাব্য সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার ওপর জোরারোপ করেন সৌদি যুবরাজ। তিনি বলেন, এই সংঘাতের যাতে বিস্তার যাতে না ঘটে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। কারণ এটা নিশ্চিত না করা গেলে মধ্যপ্রাচ্যসহ গোটা বিশ্বের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য এর পরিণতি হবে বিপজ্জনক।
এদিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিবৃতি অনুযায়ী, ইসরায়েল ও গাজায় গত দুই সপ্তাহ ধরে অসংখ্য নিরীহ মানুষের প্রাণহানির ঘটনা যে ভয়ংকর এক ঘটনা এ ব্যাপারে দুই রাষ্ট্রনেতা একমত হয়েছেন। এ ছাড়া অবরুদ্ধ গাজায় পানি, খাদ্য ও ওষুধের মতো জরুরি পণ্য পৌছানোর বিষয়েও জোরারোপ করেছেন তাঁরা।
গাজা উপত্যকার শাসকগোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধ হওয়ার আগে সৌদি আরবের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক করা নিয়ে জোর আলোচনা চলছিল। এর মধ্যস্থতা করছিল ইসরায়েলের মিত্র হিসেবে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্র। তবে এ মধ্যস্থতা প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত একটি সূত্র গত সপ্তাহে এএফপিকে জানায়, গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলা শুরুর পর তেল আবিবের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা নিয়ে আলোচনা স্থগিত করেছে রিয়াদ।