আল-কায়েদা নেতা ভেবে বিমান হামলায় মেষপালক নিহত, তদন্ত করছে যুক্তরাষ্ট্র
সিরিয়ায় মার্কিন বাহিনীর বিমান হামলায় এক বেসামরিক নাগরিক নিহতের ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সন্ত্রাসী সংগঠন আল-কায়েদার জ্যেষ্ঠ নেতা ভেবে ওই ব্যক্তির ওপর হামলা চালানো হয়েছিল। ৩ মে সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশের কুরকানিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
হামলার পরপরই নিহত লোতফি হাসান মাসতুরের (৫৬) বড় ভাই দাবি করেন, তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে আল-কায়েদার কোনো যোগসূত্র ছিল না। হামলার সময় তিনি মেষ চরাচ্ছিলেন। এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) জানায়, অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।
গতকাল এক বিবৃতিতে সেন্টকমের মুখপাত্র মেজর জন মুর বলেন, হামলার ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিমান হামলায় বেসামরিক মানুষ হতাহত হতে পারেন, এমন অভিযোগ সম্পর্কে সেন্টকম সতর্ক।
সিরিয়ার সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে বিমান হামলায় বেশি ঝুঁকেছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা জোর দিয়ে বলে আসছে, অত্যন্ত নির্ভুলভাবে এ ধরনের হামলা চালানো হচ্ছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় প্রায়ই বেসামরিক মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন বলে মানবাধিকার সংগঠন, পর্যবেক্ষক সংস্থা ও গণমাধ্যমের অনুসন্ধানে জানা গেছে।
৩ মে বিমান হামলার পর সেন্টকম এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, হামলায় আল-কায়েদার এক জ্যেষ্ঠ নেতাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল। এতে আরও বলা হয়েছিল, এই অঞ্চলে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএসআই) এবং আল–কায়েদাকে পরাজিত করতে সেন্টকম দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
লোতফি হাসানের বড় ভাই মোহাম্মদ মাসতু (৭২) বলেন, ‘সে জীবন নিয়ে বেশ সন্তুষ্ট ছিল। তাকে সবাই ভালোবাসত এবং প্রশংসা করত। সে নিজের ব্যবসা দেখাশোনা করত এবং গ্রামের উপকণ্ঠে থাকত।’
ওয়াশিংটন পোস্টের খবর বলা হয়েছে, লোতফি হাসান ১০ সন্তানের বাবা। পরিচিতজনেরা বলছেন, তাঁর পুরো জীবনই দারিদ্র্যের মধ্যে কেটেছে। ৩ মে যখন হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়, তখন তিনি মেষ চরাচ্ছিলেন।