তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে মৃত্যু ২৩ হাজার ৭০০ ছাড়াল

২৭ বছরের রাবিয়া অফকেলিকে উদ্ধার করে আনছেন উদ্ধারকারীরা। নিখোঁজ অনেককে এভাবে ধ্বংসস্তূপ থেকে বের করে আনছেন উদ্ধারকর্মীরা। হাতায়, তুরস্ক, ১০ ফেব্রুয়ারি।
ছবি: রয়টার্স

তুরস্ক-সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২৩ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্য তুরস্কে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ২১৩ জনে। দেশটিতে আহত হয়েছে ৮০ হাজার ৫২ জন। আর সিরিয়ায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ৫০০ জন।

২০ দিন বয়সী কারিম আজিরাতকে  ধ্বংসস্তূপ থেকে বের করে আনছেন উদ্ধারকর্মীরা। হাতায়, তুরস্ক, ৮ ফেব্রুয়ারি।
ছবি: রয়টার্স

তুরস্কে এখনো বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়াদের উদ্ধারে উদ্ধারকর্মীরা প্রাণপণ প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।

আজ শনিবার সকালে তুরস্ক ও সিরিয়ার সরকারি সূত্র ও চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, গত সোমবার ভোরে আঘাত হানা ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত তুরস্কে ২০ হাজার ২১৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আর সিরিয়ায় মারা গেছেন ৩ হাজার ৫০০ জন। ফলে দুই দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজার ৭১৩ জনে।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন

এদিকে সিএনএন-এর এক খবরে বলা হচ্ছে, সিরিয়ায় মৃতের মধ্যে দুই হাজার ১৬৬ জন উত্তরপশ্চিমের বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় এবং এক হাজার ৩৪৭ জন বাশার আল আসাদ সরকার নিয়ন্ত্রিত এলাকায়। ৭ দশমিক ৮ মাত্রার গত সোমবারের ভূমিকম্পে তুরস্কে ১৯৯৯ সালে ১৭ হাজারের বেশি মৃত্যু হওয়া ভূমিকম্পের চেয়ে অনেক বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

তুরস্কে উদ্ধারকাজে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে তীব্র ঠান্ডা, বৃষ্টি, যোগাযোগে বিপর্যয়সহ নানা সমস্যা। আশ্রয়, খাবার, পানি, জ্বালানি ও বিদ্যুতের অভাবে চরম দুর্দশায় রয়েছেন উপদ্রুত এলাকাগুলোর বেঁচে থাকা মানুষেরা। ফলে তাঁদের মধ্য থেকেও অনেকের মৃত্যু হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

আরও পড়ুন

পাশের দেশ সিরিয়ার অবস্থা আরও খারাপ। দেশটির ভূমিকম্পকবলিত এলাকাগুলো সরকার ও বিদ্রোহী—দুই পক্ষের নিয়ন্ত্রণে থাকায় সহায়তা পৌঁছানো নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে সহায়তা নিয়ে জাতিসংঘের ছয়টি ট্রাক তুরস্ক সীমান্ত পার হয়ে সিরিয়ায় প্রবেশ করেছে। এটি দেশটির উপদ্রুত অঞ্চলে পৌঁছানো প্রথম আন্তর্জাতিক সহায়তা।

আরও পড়ুন