ইসরায়েলে কী রকম অস্ত্র দিয়ে হামলা চালাল ইরান

ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরানছবি: রয়টার্স

ইসরায়েলে ইরান যেসব অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে, তা বিশ্লেষণ করেছেন আল-জাজিরার প্রতিরক্ষা সংবাদদাতা অ্যালেক্স গ্যাটোপলাস। তিনি বলেছেন, ইরান ইসরায়েলে ড্রোন, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও প্রায় ১১০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। ড্রোনগুলো আকারে ছোট ছিল এবং ‘সস্তা ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের মতো’ তা ব্যবহার করা হয়েছে।

ইরানের ছোড়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ছিল বহু স্তরবিশিষ্ট। এগুলো এমনভাবে নকশা করা হয়েছিল, যাতে ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করে দিতে পারে।

আরও পড়ুন

ইসরায়েলের নেভাতিম বিমানঘাঁটিতে অন্তত ১৫টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছিল। তবে ইসরায়েল এর মধ্যে অধিকাংশই ধ্বংস করে দিয়েছে।

ইরানের সংবাদ সংস্থা ইসনা এ সপ্তাহে একটি গ্রাফিকস প্রকাশ করেছে। ইসরায়েলে পৌঁছাতে সক্ষম, এমন ৯টি ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করা হয়েছে।

ইসনা বলেছে, ইরান যেসব ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে সেগুলোর মধ্যে আছে ২ হাজার ৫০০ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে ঘণ্টায় ১৭ হাজার কিলোমিটারের বেশি গতিতে আঘাত হানতে পারা সেজিল। আরও আছে ২ হাজার কিলোমিটার দূরত্বে আঘাত হানতে পারা খাইবার ও ১ হাজার ৪০০ কিলোমিটার দূরত্বে আঘাত হানতে সক্ষম হাজ কাশেম।

ড্রোন সরবরাহকারী দেশ ইরান বলেছে, গত আগস্টে তারা ‘ড্রোন মোহাজের-টেন’ তৈরি করেছে। এটি দুই হাজার কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে টানা ২৪ ঘণ্টা ৩০০ কেজি ওজন নিয়ে উড়তে সক্ষম।

আরও পড়ুন

ইসরায়েলে ইরানের হামলার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক সংক্ষিপ্ত পোস্টে নেতানিয়াহু বলেন, তাঁর দেশ বিজয় অর্জন করবে।

সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলার বদলা হিসেবে ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডস কোর (আইআরজিসি)। গতকাল শনিবার গ্রিনিচ মান সময় রাত আটটার দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া শুরু হয়। ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ইরানের প্রথম কোনো সরাসরি হামলা এটি।

ইসরায়েল বলেছে, ইরান, ইরাক ও ইয়েমেন থেকে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। তবে এসবের অধিকাংশই ধ্বংস করা হয়েছে।
ইরান বলছে, ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলার বদলা হিসেবে তারা এই হামলা চালিয়েছে।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন