২০১৬ সালের পর প্রথম হজযাত্রীদের নিয়ে ইয়েমেনের সানা থেকে সৌদি গেল ফ্লাইট

সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য সানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অপেক্ষায় ইয়েমেনের হজযাত্রীরা
ছবি: এএফপি

২০১৬ সালের পর প্রথমবারের মতো ইয়েমেনের রাজধানী সানা থেকে সৌদি আরবের উদ্দেশে একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট ছেড়ে গেছে। হজযাত্রীদের নিয়ে গতকাল শনিবার ফ্লাইটটি ইয়েমেনের বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত সানা ত্যাগ করে।

ইয়েমেনে বছরের পর বছর ধরে গৃহযুদ্ধ চলছে। এর মধ্যে সানা থেকে সৌদি আরবে বাণিজ্যিক ফ্লাইট গেল। এই ঘটনাকে উত্তেজনা কমার সবশেষ ইঙ্গিত হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ইয়েমেনিয়া এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট ২৭৭ জন যাত্রী নিয়ে স্থানীয় সময় রাত ৮টায় সানা থেকে সৌদির উদ্দেশে যাত্রা করে।

আগামীকাল সোমবার ও পরদিন মঙ্গলবার আরও দুটি ফ্লাইট সানা থেকে সৌদির উদ্দেশে ছেড়ে যাবে বলে কর্মকর্তারা জানান।

হুতিদের গণপূর্তমন্ত্রী গালেব মুতলাক বলেন, ইয়েমেনের ২৪ হাজার মানুষ দেশটির বাইরে ভ্রমণে যেতে ইচ্ছুক। তাঁদের জন্য প্রায় ২০০টি ফ্লাইটের প্রয়োজন হবে।

হুতিদের হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রী নাজিব আল-আজি সাংবাদিকদের বলেন, আজ যা হচ্ছে, তাকে তাঁরা একটি ভালো ইঙ্গিত হিসেবে বিবেচনা করছেন। বিমানবন্দর, বিশেষ করে, সানা বিমানবন্দর ইয়েমেনি ভ্রমণকারীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

ফ্লাইটটির যাত্রী মোহাম্মদ আসকার বলেন, তাঁর আশা, অবরোধ শেষ হবে। বিমানবন্দর চালু থাকবে। তাঁরা খুব খুশি। তাঁরা স্বস্তি পেয়েছেন। তিনি তাঁর অনুভূতি বর্ণনা করতে পারবেন না।

ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীবিরোধী সৌদির নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট সানার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এত দিন অবরোধ করে রেখেছিল। অবরোধের সাত বছর পর সানার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কোনো বাণিজ্যিক ফ্লাইট দেশটির বাইরে গেল।

২০১৪ সালে ইয়েমেনে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। পরের বছর হুতিদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট। ২০১৬ সালের আগস্টে সৌদি জোটের অবরোধের কারণে সানার বিমানবন্দর বন্ধ হয়ে যায়।

২০১৪ সালে রাজধানী সানার নিয়ন্ত্রণ নেয় হুতিরা। তারা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ইয়েমেন সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে। তারা দেশটির একটা বড় অংশে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে।