এক দ্বৈত নাগরিকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইরান, দাবি পরিবারের

আলিরেজা আকবরি
ছবি: টুইটার

ব্রিটিশ-ইরানি এক দ্বৈত নাগরিকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইরান। ইরানে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এই ব্যক্তির পরিবার বিবিসির পার্সি সার্ভিসকে এমনটাই বলেছে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এই ব্যক্তির নাম আলিরেজা আকবরি। তাঁর স্ত্রী মরিয়ম বলেছেন, আলিরেজার সঙ্গে শেষ সাক্ষাতের জন্য পরিবারকে কারাগারে যেতে বলেছে কর্তৃপক্ষ। তাঁকে ইতিমধ্যে নির্জন সেলে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

আলিরেজা ইরানের উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রী ছিলেন। তাঁকে ২০১৯ সালে গ্রেপ্তার করা হয়।
যুক্তরাজ্যের হয়ে ইরানে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আলিরেজাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। তবে এই অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেছেন।

আলিরেজার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর বন্ধে ইরানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাজ্য। একই সঙ্গে তাঁকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে বলেছে লন্ডন।

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি বলেছেন, এটি একটি বর্বর শাসকগোষ্ঠীর রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কাজ। এই শাসকেরা মানুষের জীবনকে একেবারেই পাত্তা দেয় না।

আগে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বিবিসিকে বলেছিলেন, তাঁরা আলিরেজার পরিবারকে সমর্থন দিয়ে আসছেন। তাঁরা বারবার ইরানি কর্তৃপক্ষের কাছে আলিরেজার বিষয়টি উত্থাপন করেছেন।

আলিরেজাকে জরুরি কনস্যুলার–সুবিধা দিতে ইরানি কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছিল যুক্তরাজ্য। কিন্তু ইরান সরকার ইরানিদের ক্ষেত্রে দ্বৈত নাগরিকত্বকে স্বীকৃতি দেয় না।

বিবিসির পার্সি সার্ভিস গতকাল বুধবার আলিরেজার কাছ থেকে পাওয়া একটি অডিও বার্তা সম্প্রচার করেছে। অডিও বার্তায় তিনি বলেছেন, তাঁকে নির্যাতন করা হয়েছিল। ক্যামেরার সামনে অপরাধ স্বীকার করতে বাধ্য করা হয়েছিল। তবে তিনি এ অপরাধ করেননি।

আলিরেজা বলেছেন, তিনি কয়েক বছর আগে বিদেশে বসবাস করছিলেন। বিশ্বশক্তির সঙ্গে তেহরানের পারমাণবিক আলোচনায় যুক্ত এক শীর্ষ ইরানি কূটনীতিক তাঁকে ইরান সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। তিনি ইরানে যাওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনা হয়।

সংস্কারবাদী নেতা মোহাম্মদ খাতামি ইরানের প্রেসিডেন্ট থাকাকালে আলিরেজা দেশটির উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রী ছিলেন। ১৯৯৭ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত দুই মেয়াদে ইরানের প্রেসিডেন্ট ছিলেন খাতামি।