ইসরায়েলের হামলা থেকে গাজার হাসপাতাল, গণমাধ্যম কিছুই রেহাই পাচ্ছে না 

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এ পর্যন্ত অন্তত ১৯টি চিকিৎসাকেন্দ্র ও ৯০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ইসরায়েলি বিমান হামলায় গুঁড়িয়ে গেছে পুরো ভবন। ধ্বংসস্তূপের নিচে হতাহত কেউ আছে কি না, খুঁজে দেখছেন ফিলিস্তিনিরা। গতকাল গাজার দক্ষিণে খান ইউনিস এলাকায়
ছবি: রয়টার্স

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার পর থেকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নির্বিচার বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এ হামলা থেকে বাদ পড়ছে না আবাসিক ভবন থেকে শুরু করে অ্যাম্বুলেন্স, হাসপাতাল, এমনকি গণমাধ্যমের কার্যালয়ও।

গত শনিবার গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী হামলা শুরুর পর ১৯টি চিকিৎসাকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে।

এর আগের দিন এক প্রতিবেদনে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সমন্বয় দপ্তর (ওসিএইচএ) জানিয়েছিল, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও জ্বালানি–স্বল্পতার কারণে মোট ১৩টি হাসপাতালের সব কটিতে ও অন্যান্য চিকিৎসাকেন্দ্রে আংশিক কার্যক্রম চলছে। 

ডব্লিউএইচওর বৃহস্পতিবারের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২০টি অ্যাম্বুলেন্সও।

ওসিএইচএ জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৯০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুটি প্রতিষ্ঠান জরুরি আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল।

গণমাধ্যমের ৪৯ কার্যালয় ধ্বংস

জেনেভাভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন ইউরো-মেড হিউম্যান রাইটস মনিটরের তথ্য অনুযায়ী, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় গণমাধ্যমের ৪৯টি কার্যালয় ধ্বংস হয়েছে। রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস জানায়, বিমান হামলায় গুঁড়িয়ে দেওয়া ফিলিস্তিন টাওয়ারে ছিল স্থানীয় পত্রিকা আল-আইয়াম–এর কার্যালয়ও।

বাদ পড়ছে না মসজিদ-গির্জাও

ওসিএইচএর প্রতিবেদনে বলা হয়, বিমান হামলা চালিয়ে গাজায় ১১টি মসজিদ গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। আরও সাতটি মসজিদ ও গির্জা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া গির্জাগুলো প্রাচীন বলে জানিয়েছে ইউরো-মেড।

এদিকে ইসরায়েলের নির্বিচার বোমা হামলায় ২২ হাজার ৬০০ ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও ২ হাজার ৪৩৫টি ঘরবাড়ি।