গাজায় পৌঁছাল ত্রাণের দ্বিতীয় বহর

রাফাহ সীমান্ত দিয়ে মিসর থেকে গাজায় ত্রাণ সরবরাহ করা হচ্ছে
ছবি: রয়টার্স ফাইল ছবি

ইসরায়েলি বিমান হামলা জোরদার হওয়ার মধ্যেই গাজা উপত্যকায় দ্বিতীয় ত্রাণ বহরটি পৌঁছেছে। গতকাল রোববার মোট ১৭টি ট্রাক মিসর থেকে গাজা উপত্যকায় ঢুকেছে।

আগের দিন শনিবার প্রথম ধাপে মিসর থেকে গাজায় ২০টি ট্রাক ঢুকেছিল। এসব ট্রাকে আছে চিকিৎসা উপকরণ, খাদ্য ও পানি।

গাজার খান ইউনিস থেকে আল–জাজিরার প্রতিনিধি হানি আবু ইশেবা বলেন, ‘ট্রাকগুলোতে থাকা মানবিক সহায়তার বেশির ভাগই চিকিৎসা উপকরণ। চিকিৎসকেরা আমাদের বলেছেন, গাজা উপত্যকার হাসপাতালগুলোর জন্য এ সহায়তা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা সরঞ্জামের খুব প্রয়োজন। তবে এসব ট্রাকে কোনো জ্বালানি পাঠানো হয়নি।’

আরও পড়ুন

জ্বালানি ঘাটতি নিয়ে হাসপাতালগুলো দুশ্চিন্তায় আছে বলেও উল্লেখ করেন ইশেবা।
জাতিসংঘের ত্রাণবিষয়ক সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) কর্মকর্তা টমাস হোয়াইট গাজা থেকে আল–জাজিরাকে বলেন, টেলিভিশনে যেসব ত্রাণবাহী ট্রাক দেখানো হয়েছে, সেগুলো দেখতে জ্বালানি ট্রাকের মতো মনে হচ্ছিল।

এ ট্রাকগুলো আসলে গাজার অভ্যন্তরে ইউএনআরডব্লিউএর এক মজুতকেন্দ্র থেকে আরেক মজুতকেন্দ্রের দিকে জ্বালানি সরবরাহে নিযুক্ত আছে। তিনি বলেন, ‘গাজায় কোনো জ্বালানি আসছে না। জ্বালানির অবস্থা এখন খুব শোচনীয়। সহায়তা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে আমাদের জ্বালানি প্রয়োজন।’

আরও পড়ুন

ত্রাণ সংস্থাগুলো বলছে, গাজায় বর্তমানে যে সহায়তা আসছে তা সাগরে এক ফোঁটা জলের মতো। তা দিয়ে গাজার ২৩ লাখ মানুষের চাহিদা পূরণ সম্ভব নয়।  

ত্রাণ সরবরাহ অব্যাহত রাখার ওপরও জোর দিয়েছে ত্রাণ সংস্থাগুলো।

গাজায় শুধু চিকিৎসা উপকরণেরই ঘাটতি তৈরি হয়নি, সেখানে খাবার ও বিশুদ্ধ পানিরও অভাব দেখা দিয়েছে। ইসরায়েল সেখানে বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে, জ্বালানি ও পানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে।

জাতিসংঘের তথ্য বলছে, গাজায় অব্যাহত বিমান হামলার কারণে সেখানকার পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থা, পানির কূপ, সংরক্ষণাগার ও পানির পাম্পগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর হিসাবমতে, গাজার মানুষের চাহিদা মেটাতে সেখানে প্রতিদিন প্রায় ১০০টি করে ত্রাণবাহী ট্রাক পাঠাতে হবে।

আরও পড়ুন