গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ৩৮

গাজার আল-শাতি শরণার্থীশিবিরে ইসরায়েলি হামলায় ধসে যাওয়া ভবন থেকে হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধারের চেষ্টা করছেন সাধারণ মানুষ, ২২ জুন, ২০২৪ছবি: রয়টার্স

গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৩৮ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের বেসামরিক প্রতিরক্ষা অফিস এ তথ্য জানিয়েছে।

হামাসের এক মুখপাত্র বলেন, গাজার আল শাতি শরণার্থীশিবির এলাকায় একটি আবাসিক ব্লকে বেশ কয়েকবার বিমান হামলা চালানো হয়েছে। এ ছাড়া আল-তুফফা এলাকার বাড়িঘর লক্ষ্য করে পৃথক বিমান হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার গণমাধ্যম অফিস।

এ বিষয়ে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবি, যুদ্ধবিমানগুলো হামাসের সামরিক অবকাঠামোগুলোয় আঘাত করেছে। ইসরায়েলি গণমাধ্যমে বলা হয়, হামাসের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়ে থাকতে পারে।

হামাসের মুখপাত্র হুসেইন মুহাইসিন এএফপিকে বলেন, হামলায় অনেক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। অনেক পরিবার ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে আছে। হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে আহত অনেককে। চাপা পড়ে থাকা লোকদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম, জ্বালানি ও অ্যাম্বুলেন্সের অভাবে উদ্ধারকাজ পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে।  

আরও পড়ুন

এদিকে গাজায় গত শুক্রবার রেডক্রসের (আইসিআরসি) কার্যালয়ে গোলা নিক্ষেপের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল। আইসিআরসি জানায়, হামলায় ২২ জন নিহত হয়েছেন। তাঁরা রেডক্রস কার্যালয়ের আশপাশে আশ্রয় নিয়েছিলেন। জোসেফ বোরেল একটি স্বাধীন তদন্তের মাধ্যমে এ হামলার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন

তবে গতকাল শনিবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) দাবি করে, দক্ষিণ গাজার আল-মাওয়াসি এলাকায় গোলাগুলির ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, সেখানে রেডক্রসের ভবনে সরাসরি কোনো হামলা চালানো হয়নি।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় হামাস। এতে ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন। একই সঙ্গে ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। ওই দিন থেকেই গাজায় বিধ্বংসী হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল।

হামাসের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, হামলায় এ পর্যন্ত গাজায় ৩৭ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী ও শিশু।