ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণের আগেই গাজায় যুদ্ধবিরতি সম্ভব: কাতারের প্রধানমন্ত্রী

ইসরায়েলের হামলার পর একটি ভবনের ধ্বংসাবশেষে নিজের পোষা বিড়াল নিয়ে দাঁড়িয়ে আহত এক কিশোর। গাজা উপত্যকার নুসাইরাত শরণার্থীশিবিরেছবি : এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণের আগেই গাজায় যুদ্ধবিরতি সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিম আল থানি। কাতারের প্রধানমন্ত্রীর এমন ঘোষণায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে নতুন আশার জন্ম দিয়েছে। কারণ, গত মাসে দেশটি গাজার যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছিল।

আজ শনিবার রাজনীতিবিষয়ক সংলাপ দোহা ফোরামে কাতারের প্রধানমন্ত্রী এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেছেন, ‘(যুক্তরাষ্ট্রের) নির্বাচনের পর আমাদের মনে হচ্ছে, সেই কাঙ্ক্ষিত মুহূর্তের (যুদ্ধবিরতি) সম্ভাবনা ফিরে আসছে।’

কাতার গত নভেম্বর মাসে যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতা থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। তখন দেশটি বলেছিল, হামাস ও ইসরায়েল যুদ্ধ বন্ধ নিয়ে ‘ইচ্ছা দেখালে ও আন্তরিক’ হলে মধ্যস্থতার কাজে ফিরবে দোহা। আজ কাতারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিছু দেশ যুদ্ধবিরতির প্রক্রিয়ায় সমস্যা সৃষ্টি করছিল বলে কাতার মধ্যস্থতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের আগেই যুদ্ধবিরতি আশা দেখা যাচ্ছে। তাই কাতার মধ্যস্থতায় ফিরে সে (যুদ্ধবিরতি) চেষ্টাই করছে।

গাজা যুদ্ধ বন্ধ নিয়ে বাইডেন ও ট্রাম্পের মনোভাবের মধ্যে পার্থক্যের দিকে ইঙ্গিত করে কাতারের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘কিছু তফাত আছে। কিন্তু আমাদের মধ্যে যুদ্ধ শেষ করা নিয়ে কোনো মতানৈক্য নেই। এটা বোঝা আমাদের জন্য বেশ জরুরি।’

গত বৃহস্পতিবার একটি সূত্র রয়টার্সকে জানায়, ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত এরই মধ্যে কাতার ও ইসরায়েল সফর করেছেন। আগামী ২০ জানুয়ারি ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের আগেই যাতে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিদের উদ্ধারের চুক্তি করা যায়, সে জন্য তিনি চেষ্টা করছেন।

গাজায় ইসরায়েলের হামলার ১৪ মাস চলছে। ইসরায়েলি হামলায় গাজায় শনিবারও অন্তত ২০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে উপত্যকাটিতে নিহতের সংখ্যা দাঁড়াল ৪৪ হাজার ৬৬৪। একই সময়ে আহত হয়েছেন ১ লাখ ৫ হাজার ৯৭৬ জন।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলায় চালায় হামাস। এতে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন। ২৫০ জনের বেশি মানুষকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে আসা হয়।