পারমাণবিক চুক্তি আলোচনায় ট্রাম্পের কোনো চিঠি পায়নি ইরান
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছ থেকে পারমাণবিক চুক্তির বিষয়ে আলোচনার জন্য ইরান এখনো কোনো চিঠি পায়নি। ইরান দূতাবাসের এক মুখপাত্র গত শুক্রবার এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোনো চিঠি পাইনি।’
এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, গত বৃহস্পতিবার তিনি ইরানের নেতৃত্বের কাছে দেশটির পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে আলোচনার আগ্রহ প্রকাশ করে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের চিঠি পাঠানোর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ইরান দূতাবাসের মুখপাত্র এ মন্তব্য করেছেন। ট্রাম্প বলেছেন, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলী খামেনিকে ট্রাম্প একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। ওই চিঠিতে তেহরানের দ্রুত অগ্রসরমাণ পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ন্ত্রণে একটি নতুন চুক্তির বিষয়ে আলোচনার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এদিকে ইরানের ওপর কঠোর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকলে দেশটির সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি।
আরাঘচি সংবাদ সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘যতক্ষণ যুক্তরাষ্ট্র তাদের সর্বোচ্চ চাপের নীতি এবং হুমকি বজায় রাখবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা তাদের সঙ্গে সরাসরি কোনো আলোচনায় বসব না।’
জানুয়ারিতে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন ইরানের জ্বালানি তেল খাতসহ দেশটির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে। সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের কৌশলের অংশ হিসেবে তারা এ পদক্ষেপ নিয়েছে।
গত শুক্রবার ফক্স বিজনেস নিউজে সম্প্রচারিত ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি আংশিক সাক্ষাৎকার থেকে তাঁর ওই মন্তব্যকে তাৎক্ষণিকভাবে তুলে ধরে ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। যদিও এখনো ট্রাম্পের চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেনি খামেনির কার্যালয়। আগামীকাল রোববার ট্রাম্পের সাক্ষাৎকারটি পূর্ণাঙ্গভাবে সম্প্রচারিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তবে পারমাণবিক আলোচনাসংক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রের চিঠি পেলে ইরানের ৮৫ বছর বয়সী সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি কী প্রতিক্রিয়া দেবেন, তা এখনো স্পষ্ট নয়। কারণ, ২০১৫ সালে ইরানের পারমাণবিক চুক্তির আলাপ-আলোচনা শুরুর আগপর্যন্ত খামেনির কাছে লেখা চিঠিগুলো গোপন রেখেছিলেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
অন্যদিকে হোয়াইট হাউস ট্রাম্পের এ মন্তব্যের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছে, তিনি ইরানের নেতাদের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। আর তাতে তিনি পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে আলোচনা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।