৩ ইসরায়েলির ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলারফাইল ছবি: মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ের ভিডিও থেকে নেওয়া

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে স্থিতিশীলতা নষ্ট ও সহিংসতার অভিযোগে তিন ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী এবং দুটি কৃষি ফার্মের ওপর গতকাল বৃহস্পতিবার নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

এ নিয়ে চলতি বছর দ্বিতীয়বারের মতো ওয়াশিংটন ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের হামলার পর পশ্চিম তীরে সংহিসতা বেড়েই চলেছে। এর প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র এ পদক্ষেপ নিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার এক বিবৃতিতে বলেন, পশ্চিম তীরে যারা অনবরত সহিংসতা চালিয়ে যাচ্ছে এবং অশান্তি সৃষ্টি করছে, তাদের জবাবদিহি করতে আমরা আরও পদক্ষেপ নিচ্ছি।

মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, যেই তিন ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ হয়েছে তাঁরা হলেন জেভি বার ইয়োসেফ, নেরিয়া বেন পাজি ও মোশে শারভিত। তাঁরা একসময় ইসরায়েলে বসবাস করতেন, পরে পশ্চিম তীরে চলে আসে।

এ ছাড়া যে দুটি কৃষি খামারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ হয়েছে, সেগুলো হলো মোশিস ফার্ম ও জভিস ফার্ম। ফার্ম দুটি হালামিশে বিদ্যমান বসতির কাছে অবস্থিত। জভিস ফার্মের মালিক ও প্রতিষ্ঠাতা হলেন জেভি বার ইয়োসেফ। আর মোশিস ফার্মের মালিক ও প্রতিষ্ঠাতা হলেন মোশে শারভিত। এই দুটি ফার্মকে ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করে সেখান থেকে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সহিংসতা চালানো হয়।

এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পর্কিত যেকোনো সম্পদ জব্দ করা হবে। পাশাপাশি তাদের সঙ্গে মার্কিন নাগরিকদের লেনদেন করতে নিষেধ করা হয়েছে।

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৭ অক্টোবরের পর থেকে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনী বা বসতি স্থাপনকারীদের হাতে অন্তত ৪৩০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে ইসরায়েলের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের হিসাব রেখেছে এএফপি। তাদের হিসাবে এ সংখ্যা প্রায় ১ হাজার ১৬০ জন, যাঁদের বেশির ভাগই বেসামরিক মানুষ।