গাজার খান ইউনিসে একটি গণকবরে ৫০ জনের মরদেহের সন্ধান

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের বোমার আঘাতে বিধ্বস্ত হয়েছে একটি বাড়ি। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে অসহায় দুই ফিলিস্তিনি শিশু। দক্ষিণ গাজার রাফায়ফাইল ছবি: এএফপি

গাজার খান ইউনিস শহরে নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সে একটি গণকবরে ৫০ জনের মরদেহের সন্ধান পাওয়া গেছে। ফিলিস্তিনের জরুরি সেবা বিভাগ গণকবরটির উন্মোচন করে।

জরুরি সেবা বিভাগ বলেছে, ‘আমাদের দল অবশিষ্ট শহীদদের মরদেহ খুঁজে পেতে সামনের দিনগুলোতেও অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চালাবে। কেননা, সেখানে (শহরটিতে) এখনো উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শহীদের মরদেহ রয়েছে।’

আরও পড়ুন

৭ এপ্রিল গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় এ শহর থেকে ইসরায়েল তাদের সেনাদের প্রত্যাহার করে নেয়। এরপর এ গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেল। কয়েক মাস ধরে ইসরায়েলের বিরামহীন গোলাবর্ষণ ও তাদের সেনাদের সঙ্গে তুমুল লড়াইয়ে শহরটির বড় অংশই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

রাফায় হামলায় নিহত ১০, অধিকাংশই শিশু

এদিকে গাজা উপত্যকার সর্বদক্ষিণের শহর রাফার একটি বাড়িতে ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ছয়টিই শিশু।

গত শুক্রবার রাতে রাফার পশ্চিমে তাল আস-সুলতান এলাকায় ওই হামলা চালানো হয়। ওই ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের দাফন গতকাল শনিবার সম্পন্ন হয়েছে। গাজার সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানায়।

আরও পড়ুন

রাফা থেকে আল–জাজিরার সংবাদদাতা হানি মাহমুদ জানান, দাফনের আগে মরদেহগুলো আল-নাজ্জার হাসপাতাল থেকে হস্তান্তর করা হয়। তিনি বলেন, ‘নিহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই ছিল শিশু। মরদেহগুলো ছিল রক্তে ভেজা সাদা চাদরে মোড়ানো। আমরা হাসপাতালটির একজন চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেছি। চিকিৎসক জানিয়েছেন, এই শিশুরা মারাত্মকভাবে আহত হয়েছিল। দেহগুলো ছিল রক্তাক্ত।’

এদিকে গাজা উপত্যকার সর্বদক্ষিণের শহর রাফার একটি বাড়িতে ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ছয়টিই শিশু।

আল–জাজিরার সংবাদদাতারা জানান, রাফায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গতকালও হামলা অব্যাহত রাখে। সংবাদদাতা তারেক আবু আজম বলেন, ‘শহরটিতে নিরবচ্ছিন্ন লড়াই চলছে।’

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন