জেরুজালেমের বাস স্টপেজে বন্দুকধারীর গুলিতে ছয়জন নিহত
ইসরায়েলের অধিকৃত জেরুজালেমের উপকণ্ঠে আজ সোমবার একটি বাস স্টপেজে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে ছয়জন নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলের অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা বিভাগ এই তথ্য জানিয়েছে। ইসরায়েলি পুলিশ বলছে, দুই হামলাকারীকেও হত্যা করা হয়েছে।
কারা এই হামলা চালিয়েছে বা এর উদ্দেশ্য কী ছিল, তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি। তবে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস এই হামলা চালানো দুই ফিলিস্তিনি ‘প্রতিরোধ যোদ্ধার’ প্রশংসা করেছে। তবে তারা সরাসরি এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।
অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা বিভাগ জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৫০ বছর বয়সী এক পুরুষ ও এক নারী এবং ত্রিশের কোঠায় থাকা তিন পুরুষ রয়েছেন। অন্য নিহত ব্যক্তির পরিচয় তাৎক্ষণিক জানা যায়নি। এ ঘটনায় আরও ১১ জন আহত হয়েছেন, যাঁদের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা গুরুতর।
ইসরায়েলি পুলিশের তথ্যমতে, গাড়িতে দুই হামলাকারী এসে রামোট জংশনের একটি বাস স্টপেজে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। পরে এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও এক সাধারণ নাগরিকের গুলিতে হামলাকারীরা নিহত হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হামলাকারীদের ব্যবহৃত বেশ কিছু অস্ত্র, গোলাবারুদ ও একটি ছুরি উদ্ধার করেছে।
ইসলামিক জিহাদ নামে আরেকটি ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীও এই হামলার প্রশংসা করেছে। তবে তারাও এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।
এ জংশনটি জেরুজালেমের এমন একটি অংশে অবস্থিত, যা ইসরায়েল ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে দখল করেছে। পরে অধিকৃত এই অঞ্চলকে নিজেদের দেশের অংশ হিসেবে দাবি করে। তবে জাতিসংঘ ও বিশ্বের বেশির ভাগ দেশ এই অন্তর্ভুক্তিকে স্বীকৃতি দেয়নি।
প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে ‘পরিস্থিতি মূল্যায়ন’ করতে বৈঠক করছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের ধারণ করা ভিডিওতে দেখা গেছে, গোলাগুলির পর রামোট এলাকায় প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা বিভাগ জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে পৌঁছানো এক প্যারামেডিক জানান, হতাহত বেশ কয়েকজন ব্যক্তি অজ্ঞান অবস্থায় সড়ক ও ফুটপাতে পড়ে ছিলেন।
প্যারামেডিক ফাদি দেকাইদেক দাবি করেন, ‘এটি ভয়াবহ এক দৃশ্য ছিল।’
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা ওই এলাকায় সেনা মোতায়েন করেছে। তারা সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের খুঁজতে পুলিশকে সহায়তা করছে। এ ছাড়া ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লায়ও সেনারা অভিযান চালাচ্ছে।
এর আগে ২০২৪ সালের অক্টোবরে তেল আবিবে দুই ফিলিস্তিনি সাতজনকে হত্যা করেছিল। ২০২৩ সালের নভেম্বরে জেরুজালেমের একটি বাস স্টপেজে দুই ফিলিস্তিনি বন্দুকধারীর হামলায় তিনজন নিহত হয়েছিলেন। তাদের সঙ্গে হামাসের যোগসূত্র ছিল বলে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী দাবি করেছিল।