রাফা অভিযানে রক্তগঙ্গা বইতে পারে, সতর্ক করল ডব্লিউএইচও

গাজায় বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি ও স্থাপনার ধ্বংসস্তূপের নিচে হাজার হাজার মরদেহ থাকায় রোগবালাই ছড়িয়ে পড়ছেফাইল ছবি: এএফপি

ফিলিস্তিনের গাজার দক্ষিণাঞ্চলে রাফা শহরে ইসরায়েলি বাহিনী অনুপ্রবেশ করে আক্রমণ চালালে সেখানে ‘রক্তগঙ্গা’ বয়ে যাবে বলে গতকাল শুক্রবার সতর্ক করে দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

রাফা শহরে রয়ে যাওয়া হামাস সদস্যদের নিশ্চিহ্ন করতে সেখানে বড় পরিসরে স্থল অভিযানের কথা পুর্ণব্যক্ত করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। প্রায় সাত মাস ধরে চলা যুদ্ধে গাজার বেশির ভাগ মানুষ এখন রাফায় আশ্রয় নিয়েছে।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন

এ পরিস্থিতিতে রাফায় আশ্রয় নেওয়া প্রায় ১২ লাখ মানুষের ওপর ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস সতর্ক করে দিয়েছেন।

এক এক্স (সাবেক টুইটার) বার্তায় তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস বলেন, গাজার রাফায় সম্ভাব্য পূর্ণমাত্রার সামরিক অভিযান নিয়ে ডব্লিউএইচও উদ্বিগ্ন। এর ফলে সেখানে রক্তগঙ্গা দেখা যেতে পারে। সেখানকার ভঙ্গুর স্বাস্থ্যব্যবস্থা আরও দুর্বল হতে পারে।  

এক বিবৃতিতে ডব্লিউএইচও সতর্ক করে বলেছে, রাফা অভিযানের ফলে হতাহতের সংখ্যা এতটাই বেশি হতে পারে যে সেখানকার ভঙ্গুর স্বাস্থ্য ব্যবস্থা তা সামাল দিতে পারবে না।

আরও পড়ুন

এ বিষয়ে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে নিযুক্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি রিক পিকারকর্ন জেনেভায় সাংবাদিকদের বলেন, রাফা অভিযান ঘিরে সম্ভাব্য পরিস্থিতি নিয়ে তাঁদের সংস্থার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে তা সামরিক অভিযানের ফলে হতাহতের সংখ্যা কমাতে পারবে না।

ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার বোমাবর্ষণে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার বেশির ভাগ স্বাস্থ্য পরিষেবা হয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, নয়তো ধ্বংস হয়ে গেছে। সংস্থাটি বলছে, গাজার ৩৬টি হাসপাতালের মধ্যে মাত্র ১২টি এবং ৮৮টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের মধ্যে ২২টি আংশিকভাবে কার্যকর রয়েছে।

আরও পড়ুন