সীমিত সময়ের জন্য হলেও গাজায় যুদ্ধবিরতির চেষ্টা
ফিলিস্তিনের গাজায় সীমিত সময়ের জন্য হলেও যুদ্ধবিরতি সমঝোতায় পৌঁছাতে নতুন করে চেষ্টা শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। এ সমঝোতা হলে এ বছর প্রথমবারের মতো গাজায় লড়াই বন্ধ হতে পারে এবং সেখানে থাকা কিছু ইসরায়েলি জিম্মি মুক্তি পেতে পারেন।
গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী অস্টিন লয়েডের সঙ্গে ফোনালাপে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ বলেছেন, এখন নতুন করে একটি চুক্তির সুযোগ তৈরি হয়েছে, যার মাধ্যমে মার্কিন নাগরিকসহ সব জিম্মি মুক্তি পাবেন।
অবশ্য মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থান করা একজন পশ্চিমা কূটনীতিক জানিয়েছেন, চুক্তির একটি কাঠামো দাঁড় করানো হচ্ছে। তবে এর পরিসর হবে সীমিত। এই চুক্তির অধীন স্বল্পসংখ্যক জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হতে পারে এবং স্বল্প মেয়াদে লড়াই বন্ধ হতে পারে।
সমঝোতার অংশ হিসেবে দুই পক্ষ বন্দীদের তালিকা বিনিময় করেছে বলেও কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে। শেষ পর্যন্ত চুক্তি সই হলে গত বছরের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং বন্দিবিনিময় হবে। এর আগে গত বছরের নভেম্বরে কয়েক দিনের জন্য যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময় করেছিল ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানের মধ্যপ্রাচ্য সফর ঘিরে যুদ্ধবিরতি সমঝোতা নিয়ে নতুন করে আশা দেখা যাচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি ইসরায়েলের উদ্দেশে রওনা হন। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের পর তাঁর মিসর ও কাতার যাওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী ২০ জানুয়ারি তাঁর দায়িত্ব গ্রহণের আগেই গাজায় থাকা জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। অন্যথায় কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতি চায় জাতিসংঘ
এদিকে গাজায় অনতিবিলম্বে এবং নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে ১৫৮টি দেশ। বিপক্ষে ভোট দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েলসহ ৯টি দেশ। ভোটদানে বিরত ছিল ১৩টি দেশ।
এ ছাড়া গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ত্রাণের ট্রাক লক্ষ্য করে গতকাল ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ৩৩ জন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১২ জন ত্রাণের ট্রাকের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ছিলেন।