গাজায় আটক ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে ইসরায়েলের আচরণ যুদ্ধাপরাধের শামিল: এইচআরডব্লিউ

গাজায় ফিলিস্তিনিদের আটকের যে দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েছে, তা তীব্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছেছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) বলছে, গাজায় আটক ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে ইসরায়েলি বাহিনীর করা অমানবিক আচরণ ‘যুদ্ধাপরাধের’ শামিল।

গাজায় ইসরায়েলের হাতে আটক ফিলিস্তিনিদের পোশাক খুলে অর্ধনগ্ন (অন্তর্বাস পরা) অবস্থায় দেখানো ভিডিও ফুটেজের নিন্দা করেছেন এইচআরডব্লিউর কর্মকর্তা ওমর শাকির। তিনি এইচআরডব্লিউর ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল-বিষয়ক পরিচালক।

আরও পড়ুন

এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে ওমর শাকির বলেন, গাজায় আটক ফিলিস্তিনি পুরুষদের পোশাক খুলে, চোখ বেঁধে যেসব মর্মান্তিক ছবি ইসরায়েলি সেনাবাহিনী প্রকাশ করেছে, তা তাদের (ফিলিস্তিনি) ব্যক্তিগত মর্যাদার ওপর আঘাত হিসেবে বিবেচিত। এটি একধরনের অমানবিক আচরণ, যা যুদ্ধাপরাধের শামিল। এ ক্ষেত্রে জেনেভা কনভেনশনের একটি ধারার কথা উল্লেখ করেন শাকির।

ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের জবাবদিহির আওতায় আনা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন এইচআরডব্লিউর এই কর্মকর্তা।

ভিডিওতে যেসব পুরুষকে দেখানো হয়েছে, তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের পরিবারের সদস্যরা ইসরায়েলি সেনাদের দাবি অস্বীকার করেছেন। তাঁরা বলেছেন, ভিডিওতে থাকা তাঁদের পুরুষ পরিজন হামাসের সদস্য নন।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে আটক ফিলিস্তিনিদের কিছু ভিডিও, স্থির ছবি অনলাইনে প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দেখা যায়, বেশ কিছু পুরুষ (আটক ফিলিস্তিনি) সড়কের ওপর দাঁড়িয়ে আছেন। তাঁদের পরনে অন্তর্বাস। তাঁদের মধ্যে অনেকে হাত ওপরের দিকে তুলে আছেন। অন্তর্বাস পরা একজন অস্ত্র সমর্পণ করছেন।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী এসব ছবি-ভিডিওর ঘটনা নিয়ে করা প্রশ্নের সরাসরি জবাব দেয়নি। তবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র বিবিসিকে বলেন, তল্লাশির প্রয়োজনে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের শরীর থেকে পোশাক খুলে নিতে হয়। তাঁরা যে বিস্ফোরক বা অন্য অস্ত্র লুকিয়ে রাখছেন না, তা নিশ্চিত করার জন্য এমনটা করতে হয়। তবে আটক ব্যক্তিদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে আচরণ করা হয়েছে।

গাজায় আটক ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে করা এ আচরণের বিষয়ে অনেকে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন