ফিলিস্তিনের গাজায় গণবিবাহ
একে অপরের হাত ধরে হেঁটে যাচ্ছেন বর-কনে। কনের পরনে লাল ফিতায় সজ্জিত ফিলিস্তিনের ঐতিহ্যবাহী কারুকার্যমণ্ডিত লাল–সাদা পোশাক। বরের গায়ে কালো স্যুট ও টাই। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার একটি গণবিবাহের দৃশ্য এটি। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবন ও ধংসস্তুপকে পেছনে রেখে এভাবেই গাওয়া হয় নতুন জীবনের জয়গান।
গত মঙ্গলবার গাজার দক্ষিণে খান ইউনিস শহরে চোখজুড়ানো এ অয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে ৫৪ জোড়া জুটির বিয়ে সম্পন্ন হয়, যা কোনো প্রচলিত বিয়ে নয়। যুদ্ধের ধ্বংসাবশেষের মধ্যে এটি ছিল জীবনের সাহসী উদ্যাপন। কারাম মুসাআদ নামের এক ফিলিস্তিনি তরুণ ওই অনুষ্ঠানে জীবনসঙ্গী বেছে নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের এমন একটি আনন্দঘন মুহূর্তের প্রয়োজন ছিল, যা আবার আমাদের হৃদয়কে পুনরুজ্জীবিত করতে পারে।’
ইসরায়েলের হামলায় গাজার সর্বত্র ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। তার ওপরে লালগালিচা বিছিয়ে বানানো হয় অস্থায়ী মঞ্চ। বাদ্যের তালে তালে পা মিলিয়ে একে একে মঞ্চে ওঠেন হবু দম্পতিরা। ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরা কনেদের হাতে ছিল লাল, সাদা ও সবুজ রঙের ফুলের তোড়া। তিন ধরনের ফুলের মাধ্যমে ফিলিস্তিনের পতাকা ফুটিয়ে তোলা হয়। তাঁদের পাশে ফিলিস্তিনের ছোট ছোট পতাকা উড়িয়ে হাঁটছেন বরেরা।
অনুষ্ঠানে ফিলিস্তিনের ঐতিহ্যবাহী গান ও নৃত্য পরিবেশন করা হয়, যা দেখতে শত শত দর্শক শহরের একটি চত্বরে জড়ো হন। কেউ দাঁড়িয়ে ছিলেন, কেউ আশপাশের ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবনের ওপর অসহায়ভাবে বসেছিলেন।