গাজার পুরো জনগোষ্ঠী তীব্র খাদ্যনিরাপত্তাহীনতার মুখে, সতর্কতা যুক্তরাষ্ট্রের

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার রাফা শহরে ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা শিশুরাফাইল ছবি: রয়টার্স

ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার ২০ লাখ মানুষ তীব্র খাদ্যনিরাপত্তাহীনতার নানা মাত্রায় দিনযাপন করছে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।

গাজার পরিস্থিতি এখন কেমন? এ প্রশ্নের উত্তরে ব্লিঙ্কেন বিবিসিকে বলেন, এই প্রথম কোনো পুরো জনগোষ্ঠীকে এভাবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।

যাদের প্রয়োজন, তাদের কাছে সহায়তা পৌঁছে দেওয়াকে অগ্রাধিকার দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ব্লিঙ্কেন।

আরও পড়ুন

জাতিসংঘের সংস্থাগুলো বলছে, যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা আর সহায়তা বাড়ানো না হলে আগামী মে মাসের মধ্যে গাজার উত্তরাঞ্চলে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে।

ফিলিপাইন সফরে গিয়ে ব্লিঙ্কেন এমন সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেন।

মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, গাজায় যুদ্ধবিরতির উদ্যোগের মধ্যে আবারও মধ্যপ্রাচ্য সফরে যাবেন ব্লিঙ্কেন। গত অক্টোবরের পর ওই অঞ্চলে এটা ব্লিঙ্কেনের ষষ্ঠ সফর।

আরও পড়ুন

হামাসের সঙ্গে আবারও যুদ্ধবিরতির চুক্তি করা, মানবিক সহায়তা আনা এবং ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্ত করার লক্ষ্যে মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) কাতারের দোহায় ইসরায়েলের আলোচকদের নতুন করে আলোচনায় বসার কথা।

ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র ও বৃহত্তম সামরিক সহায়তা দেওয়া দেশ যুক্তরাষ্ট্র।

গাজার পরিস্থিতি নিয়ে ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘গাজার শতভাগ মানুষ তীব্র খাদ্যনিরাপত্তাহীনতার নানা মাত্রায় দিনযাপন করছে। এবারই প্রথম কোনো পুরো জনগোষ্ঠীকে এভাবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।’

আরও পড়ুন

যখন পর্যাপ্ত খেতে না পেয়ে কারো জীবন বা জীবিকা বিপন্ন হতে নেয়, সেই পরিস্থিতিকে তীব্র খাদ্যনিরাপত্তাহীনতা বলে। এর সুরাহা করা না হলে সেটা মানুষকে অনাহারের দিকে ঠেলে দেয়।

এ বিষয়ে ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘আমরা আবারও দেখছি এবং জাতিসংঘ বলছে, গাজার শতভাগ মানুষের মানবিক সহায়তা দরকার।’

আফগানিস্তান ও সুদানের সঙ্গে তুলনা টেনে ব্লিঙ্কেন আরও বলেন, ‘সুদানের সঙ্গে তুলনায় করলে দেখি, সেখানকার ৮০ শতাংশ মানুষের মানবিক সহায়তা দরকার। আফগানিস্তানে সেটা দরকার ৭০ শতাংশ মানুষের। তাই এখানকার (গাজা) পরিস্থিতিকে অগ্রাধিকার দেওয়া জরুরি।’

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন