মার্কিন জাহাজে হামলার দাবি হুতি বিদ্রোহীদের

মার্কিন জাহাজেরপ্রতীকী ছবি। ছবি: রয়টার্স

এডেন উপসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের একটি বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালানোর দাবি করেছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। গতকাল বুধবার তারা বলেছে, মার্কিন যুদ্ধজাহাজ গ্রেভলিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কয়েক ঘণ্টা পর এ হামলা চালানো হয়েছে।

হুতিদের সামরিক শাখার মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারিয়ার দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মার্কিন বাণিজ্যিক জাহাজ কেওআই–কে লক্ষ্য করে কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে।

লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী কেওআই জাহাজটি পরিচালনা করে যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ওশিওনিক্স সার্ভিসেস। গত শনিবার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত তেল ট্যাংকার মারলিন লুয়ান্ডাও এই প্রতিষ্ঠানের।

যুক্তরাজ্যের নৌবিষয়ক নিরাপত্তা সংস্থা আমব্রে বুধবার বলেছে, একটি বাণিজ্যিক জাহাজে বিস্ফোরণ হওয়ার খবর তাদের কাছে এসেছে। এডেন উপসাগরে ৬৯ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল দিয়ে যাওয়ার সময় জাহাজটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়।

তবে ওই জাহাজটির নাম কেওআই কি না, তা জানায়নি সংস্থাটি।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এরই মধ্যে ইয়েমেনে নতুন করে বিমান হামলা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ১০টি ড্রোন ধ্বংস করার দাবি করেছে তারা। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, হামলা চালানোর উদ্দেশ্যে ড্রোনগুলো প্রস্তুত করা হয়েছিল।

ইরান-সমর্থিত হুতিরা গত বছরের নভেম্বর থেকে লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে একের পর এক হামলা চালাচ্ছে। গাজায় ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদ ও গাজাবাসীর সঙ্গে সংহতি প্রকাশে এসব হামলা চালাচ্ছে তারা।

মূলত লোহিত সাগর দিয়ে চলাচলকারী পণ্যবাহী জাহাজকে লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হচ্ছে। এতে আন্তর্জাতিক জাহাজ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। কিছু জাহাজ হামলার ভয়ে লোহিত সাগর এড়িয়ে আফ্রিকা হয়ে ঘুরে যাচ্ছে। এ সাগরপথে গন্তব্যে পৌঁছাতে বেশি সময় লেগে যায় এবং খরচও বেশি পড়ে।

যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যও ইয়েমেনে হুতিদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। দেশ দুটি হুতি বিদ্রোহীদের সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।