২৮ বছর বয়সী ঘোলিয়ান চার বছর কারাভোগ করার পর বুধবার তেহরানের ইভিন কারাগার থেকে মুক্তি পান। ২০১৮ সালে একটি ধর্মঘট আন্দোলন নিয়ে সংবাদ প্রতিবেদন তৈরি করার জের ধরে তাঁকে এ শাস্তি দেওয়া হয়েছিল।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকারসংক্রান্ত নিউজ এজেন্সির তথ্যমতে, তেহরান থেকে পরিবারের সঙ্গে খুজেস্তান প্রদেশের দেজফুলে বাড়ি ফেরার সময় তাঁকে আবার গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে কোথায় রাখা হয়েছে বা তাঁর বিরুদ্ধে কী অভিযোগ আনা হয়েছে, তা জানা যায়নি।

মুক্তি পাওয়ার পরপরই তিনি খামেনির বিরুদ্ধে স্লোগান দেন এবং সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেন। তিনি বলেন, ‘অত্যাচারী খামেনি, আমরা তোমাকে মাটিতে টেনে নিয়ে আসব।’

ভিডিওতে দেখা যায়, ওই সময় তাঁর মাথায় স্কার্ফও ছিল না। তিনি নারীদের জন্য ইসলামি প্রজাতন্ত্রের কঠোর পোশাক কোডের বিরোধিতা করে মাথায় স্কার্ফ পরেননি। পাশাপাশি তিনি অন্যান্য রাজনৈতিক নারী বন্দীর মুক্তির আহ্বান জানান।

কারাগারে থাকার সময় ঘোলাইন তাঁর সমর্থকদের চিঠি ও খুদে বার্তা পাঠানোর মধ্য দিয়ে ইরানের কারাগারে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী কণ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন।

পোশাক কোড ভঙ্গ করার অভিযোগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে মাসা আমিনি (২২) নামে এক নারীকে আটক করেছিল নীতি পুলিশ। এরপর ১৬ সেপ্টেম্বর নীতি পুলিশের হেফাজতে ইরানের এই তরুণীর মৃত্যু হয়। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু হলে অনেককেই গ্রেপ্তার করা হয়। তবে এই ঘটনার আগেও অনেক নারী গ্রেপ্তার হয়েছেন।