গাজাকে হামাসমুক্ত করা হবে: ইসরায়েল

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র দানিয়েল হাগারি
ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা থেকে হামাসকে নির্মূল করার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র দানিয়েল হাগারি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আমরা গাজাকে হামাসমুক্ত করব।’

স্থানীয় সময় গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে হাগারি এ হুঁশিয়ারি দেন। সাম্প্রতিক সময়ে গাজার বিভিন্ন হাসপাতালের আশপাশে নির্বিচার হামলা ও জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া নিয়ে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছে ইসরায়েল। তবে দেশটির অভিযোগ, হাসপাতালের আড়ালে হামাস সদস্যরা গোপনে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।

এ নিয়ে গতকালের সংবাদ সম্মেলনে কিছু ছবি হাজির করেন হাগারি। গাজার রানতিসি হাসপাতালের ভূগর্ভে হামাসের স্থাপনা রয়েছে বলেও ছবি দেখিয়ে দাবি করেন তিনি। বলেন, গত ৭ অক্টোবরে ইসরায়েলে হামলার সময় ব্যবহার করা বিভিন্ন উপকরণ, বিস্ফোরক, আত্মঘাতী জ্যাকেট, এমনকি মোটরসাইকেল হাসপাতালের বেসমেন্টে রয়েছে।

আরও পড়ুন

হাগারি বলেন, ‘এটাই গাজার শেষ হাসপাতাল নয়। এমন আরও অনেক হাসপাতাল হামাসের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। এটা বিশ্ববাসীর জানা প্রয়োজন। যাঁরা এসব হাসপাতালে অর্থ দিচ্ছে...তা হামাসের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।’

আরও পড়ুন

এ সময় হাগারি প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমরা (ইসরায়েলি বাহিনী) গাজা থেকে হামাসের হাতে আটক ব্যক্তিদের মুক্ত করে নিয়ে আসব। ইসরায়েলের জনগণের জন্য, এমনকি গাজার জনগণের জন্যও উপত্যকাকে হামাসের কবল থেকে মুক্ত করা হবে।’

বর্তমানে গাজার হাসপাতালগুলোয় যে শুধু রোগীরা রয়েছেন, তা নয়; বরং ইসরায়েলি হামলার মুখে হাজারো অসহায় ফিলিস্তিনি বিভিন্ন হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছেন। তাঁদের ধারণা, আর যা-ই হোক, অন্তত হাসপাতালে হামলা করবে না ইসরায়েল। তবে ইসরায়েলি হামলা থেকে রেহাই পাচ্ছে না হাসপাতালগুলো।

আরও পড়ুন

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর সেখানকার ১১ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এর ৪০ শতাংশই শিশু। অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনে দেখা দিয়েছে চরম মানবিক সংকট। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার উদ্যোগে ত্রাণবাহী কিছু ট্রাক গাজায় প্রবেশ করলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা অপ্রতুল।

আরও পড়ুন