জয়নব আরও বলেন, এ বছরের শুরুতে তাঁর ভাই বলেছিলেন জোরপূর্বক আদায় করা স্বীকারোক্তি বিচারপ্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে তিনি ভাবতে পারেননি।
পরে হুসেনের মামলা আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর নজরে আসে। সৌদি আরব গত নভেম্বর মাসে মাদকের অপরাধের কারণে মৃত্যুদণ্ডের ওপর অনানুষ্ঠানিক স্থগিতাদেশ তুলে নেয়। এর কিছুদিনের মধ্যেই ১৭ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
জাতিসংঘের ওয়ার্কিং গ্রুপ অন আরবিট্রারি ডিটেনশন বলেছে, হুসেন আবুল আল-খায়েরকে আটকের কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। ২০২২ সালের শেষদিকে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় তাঁর মুক্তির জন্য আহ্বান জানিয়েছিল। কার্যালয় বলছে, মাদকসংক্রান্ত অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ড দেওয়া আন্তর্জাতিক নীতি ও মানদণ্ড অনুসারে অসংগতিপূর্ণ।
জাতিসংঘের ওয়ার্কিং গ্রুপ অন আরবিট্রারি ডিটেনশনের মুখপাত্র লিজ থ্রোসেল হুসেনকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে সৌদি আরবের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। তাঁকে চিকিৎসাসেবা ও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। ওয়ার্কিং গ্রুপটি আরও বলেছে, সৌদি সরকার ওই ব্যক্তির পরিবারকে তাঁর মৃত্যুদণ্ডের বিষয়ে অবহিত করেনি। ফলে পরিবার তাঁকে বিদায় জানানোরও সুযোগ পায়নি।
মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান না নেওয়ায় যুক্তরাজ্যসহ সৌদি আরবের মিত্র দেশগুলো সমালোচিত হয়েছে। আলোচনায় এসেছে মোহাম্মদ বিন সালমানের আমলে এক দিনে ৮১ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঘটনাও।