ইসমাইল হানিয়া হামাসের প্রধান পুনর্নির্বাচিত

ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়া
ফাইল ছবি: রয়টার্স

ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের প্রধান হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন ইসমাইল হানিয়া। রোববার হামাসের পক্ষ থেকে এ তথ্য সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়েছে। ২০১৭ সাল থেকে ইসমাইল হানিয়া এ পদে রয়েছেন।

আবারও হামাস প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার মধ্য দিয়ে তিনি সংগঠনে তাঁর প্রভাব ও নিয়ন্ত্রণ আরও মজবুত করলেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের একজন কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যম রয়টার্সকে ইসমাইল হানিয়ার পুনর্নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ওই কর্মকর্তা বলেন, চার বছর ধরে হামাসের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ইসমাইল হানিয়া। সম্প্রতি সংগঠনের সদস্যদের অভ্যন্তরীণ ভোটাভুটিতে তিনি দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন।

আরও পড়ুন

গাজা উপত্যকায় হামাসের প্রতিষ্ঠাতা শেখ আহমেদ ইয়াসিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন ইসমাইল হানিয়া। ২০০৪ সালে ইসরায়েলি বিমান হামলায় শেখ আহমেদ ইয়াসিন নিহত হন। এরপর হামাসে ইসমাইল হানিয়ার প্রভাব আরও পোক্ত হয়। ফিলিস্তিনের রাজনীতিতে ইসমাইল হানিয়ার সরাসরি উত্থান ঘটে ২০০৬ সালের জানুয়ারির নির্বাচনের আগে। মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন বিভক্ত ফাতাহ দলের বিপরীতে জয় পায় তাঁর দল।

আরও পড়ুন

এ জয়ের পর ইসমাইল হানিয়া ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রীও হয়েছিলেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় হামাসের গায়ে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ বলে বিবেচনা করে। এরপরও পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকায় হামাসের প্রভাব রয়ে যায়।

হামাসের হুমকির কারণে ২০০৭ সাল থেকে ইসরায়েল গাজার ওপর অবরোধ আরোপ করে রেখেছে। চলতি বছরের মে মাসে ইসরায়েলের হামলায় ২৫০ জনের বেশি বেসামরিক ফিলিস্তিনি নিহত হন। গাজা থেকে ছোড়া রকেট হামলায় ১৩ জন ইসরায়েলি নিহত হন। এ সংঘাতে হামাস প্রধান হিসেবে নেতৃত্বের আসনে ছিলেন ইসমাইল হানিয়া। শান্তি ফেরাতে পরে মিসরের মধ্যস্থতায় দুই পক্ষ অস্ত্রবিরতি চুক্তি মেনে নেয়।