হাসপাতাল ছাড়লেন সৌদি আরবের বাদশাহ

সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল-সৌদ
ছবি: রয়টার্স

সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ (৮৬) হাসপাতাল ছেড়েছেন। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। খবর রয়টার্সের।

রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বিবৃতিতে সৌদি আরবের রয়্যাল কোর্ট বলছে, স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে গতকাল রোববার হাসপাতাল ছাড়েন বাদশাহ আবদুল আজিজ।

সৌদি টেলিভিশনে সম্প্রচারিত একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, লাঠিতে ভর করে ধীরে ধীরে জেদ্দার কিং ফয়সাল স্পেশালিস্ট হাসপাতাল ছাড়ছেন বাদশাহ। ভিডিও ফুটেজে বাদশাহ আবদুল আজিজের পাশে আরও কিছু লোকজনের সঙ্গে সৌদি আরবের প্রকৃত শাসক ও ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে দেখা যায়।

৭ মে বাদশাহ সালমানকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সময় রয়্যাল কোর্ট জানায়, স্বাস্থ্যের কয়েকটি পরীক্ষা করার জন্য বাদশাহকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সর্বশেষ গত মার্চে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন সালমান। সে সময় দেশটির সরকারি গণমাধ্যমের তরফ থেকে জানানো হয়, সৌদি বাদশাহের কয়েকটি স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। সেগুলো সফল হয়েছে। এ ছাড়া তাঁর হৃদ্‌যন্ত্রে স্থাপন করা ‘পেসমেকারের’ ব্যাটারি বদল করা হয়েছে।

এর আগে ২০২০ সালে বাদশাহ সালমানের গল ব্লাডারে অস্ত্রোপচার করা হয়। দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে বাদশাহদের শারীরিক অবস্থার খবর সামনে আনার ঘটনা সচরাচর ঘটে না। বাদশাহ সালমানের স্বাস্থ্য নিয়ে ছড়িয়ে পড়া খবরেও লাগাম দিতে সাধারণত তত্পর থাকে সৌদি আরব।

৮৬ বছর বয়সী বাদশাহ ২০১৫ সাল থেকে সৌদি আরবের শাসনকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

এক বছর পর ২০১৭ সালে খবর রটে তিনি ছেলে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের হাতে রাজকীয় ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন। গণমাধ্যমেও এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তবে এমন কোনো পরিকল্পনার কথা উড়িয়ে দেয় সৌদি সরকার।

সালমানের শাসনে সৌদি আরবে বেশ কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। তেলের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে অর্থনীতির অন্য খাতে নজর দেওয়া হয়েছে। জোর দেওয়া হয়েছে নারী স্বাধীনতার ওপর। একই সময়ে আবার প্রতিবেশী রাষ্ট্র ইয়েমেনে সঙ্গে চলমান যুদ্ধে জড়িয়েছে সৌদি আরব।