গাজায় ইসরায়েলি হামলায় প্রতি ১০ মিনিটেই শিশু হতাহত হচ্ছে

ইসরায়েলের হামলায় ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৭ জন নিহত। এ নিয়ে নিহত বেড়ে ৩৪ হাজার ৪৯ জনে দাঁড়িয়েছে।

ইসরায়েলি হামলায় আহত এক শিশুকে উদ্ধার করে নিয়ে যাচ্ছেন এক ফিলিস্তিনি। গত অক্টোবরে রাফায়।
ছবি : রয়টার্স

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের হামলায় প্রতি ১০ মিনিটে একটি শিশু আহত কিংবা নিহত হচ্ছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যের বরাত দিয়ে জাতিসংঘ শিশু তহবিল ইউনিসেফ এ কথা জানিয়েছে।

এদিকে ইসরায়েলের হামলায় গাজায় ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৭ জন নিহত হয়েছেন বলে আজ শনিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। এ নিয়ে গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৩৪ হাজার ৪৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ১৪ হাজারের বেশি শিশু রয়েছে।

গাজার সর্বশেষ পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে ইসরায়েলের হামলায় শিশুদের হতাহত হওয়ার এ মারাত্মক পরিসংখ্যান সামনে এনেছে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তাবিষয়ক সমন্বয় দপ্তরও (ওসিএইচএ)।

১ এপ্রিল থেকে গতকাল শুক্রবারের পরিসংখ্যান তুলে ধরে ওসিএইচএ আরও জানিয়েছে, এ সময়ের মধ্যে উত্তর গাজা ও দক্ষিণ গাজার কিছু অংশে পরিচালিত মানবিক সহায়তা কার্যক্রম যে সমন্বয়ের দরকার ছিল, তা করেনি ইসরায়েল কিংবা ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ এতে বাধা দিয়েছে।

রাফা ও পশ্চিম তীরে হামলা জোরদার

আন্তর্জাতিক উদ্বেগের মধ্যেই গাজার রাফা এলাকায় হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েল। শুক্রবার রাতভর সেখানে হামলায় ১০ জন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই শিশু ও নারী।

আজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে দক্ষিণাঞ্চলীয় এই শহরের একটি আবাসিক ভবনে হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এতে ৬ শিশুসহ ১০ জন নিহত হয়েছেন।

আসন্ন স্থল অভিযানের অংশ হিসেবে ইসরায়েল রাফায় হামলা জোরদার করেছে বলে মনে করছেন ফিলিস্তিনিরা। ইসরায়েলের হামলার মুখে উত্তর ও মধ্যাঞ্চল থেকে পালিয়ে সেখানে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ গাদাগাদি করে অবস্থান করছেন। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাটিতে স্থল অভিযান না চালাতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।

এদিকে অবরুদ্ধ গাজার পাশাপাশি দখলকৃত পশ্চিম তীরেও অভিযান জোরদার করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। আজ ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানিয়েছে, পশ্চিম তীরের নুর শামস শরণার্থীশিবিরে অভিযান চালিয়ে ১০ ফিলিস্তিনি যোদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে আটজনকে।

এ ছাড়া আজ তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠন হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়া। এই দুই নেতার বৈঠকের আগে গাজার পরিস্থিতি নিয়ে ইস্তাম্বুলে বৈঠক করেছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান ও মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ শোকরি।