পাকিস্তানে টিএলপির সঙ্গে সংঘর্ষে ৪ পুলিশ নিহত

পাকিস্তানের লাহোরে টিএলপি সমর্থকদের বিক্ষোভ। পাকিস্তান, ২৩ অক্টোবর
ছবি: রয়টার্স

পাকিস্তানের পাঞ্জাবে পুলিশের সঙ্গে নিষিদ্ধ তেহরিক-ই-লাব্বাইক পাকিস্তানের (টিএলপি) কর্মী-সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পুলিশের অন্তত চার সদস্য নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ২৫০ জনেরও বেশি মানুষ। গতকাল বুধবার পাঞ্জাবের গুজরানওয়ালা জেলায় এ ঘটনা ঘটে। পাকিস্তানের দ্য ডন পত্রিকার অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংঘর্ষে পুলিশের চার সদস্য নিহত হওয়ার তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী উসমান বুজদার। এক টুইট বার্তায় তিনি উল্লেখ করেন, গতকালের সহিংসতায় ২৫৩ জন আহত হয়েছেন। সহিংসতায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংঘর্ষে আহত ৩০ জনের বেশি পুলিশ সদস্যকে টিএইচকিউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর ৩৫ জনকে ডিএইচকিউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

টিএলপির দাবি, গতকালের ঘটনায় তাদের বেশ কিছু কর্মী-সমর্থক হতাহত হয়েছেন। টিএলপির দাবির বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এসব তথ্য জানিয়েছে।

পাঞ্জাব পুলিশের এক মুখপাত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, টিএলপির কর্মী-সমর্থকেরা এসএমজি, একে-৪৭ ও পিস্তল নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালান। এতে পুলিশের বেশ কিছু সদস্য হতাহত হন।

কাতারভিত্তিক আল–জাজিরা টেলিভিশনের অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রাশিদ আহমেদ গতকাল সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় পাঞ্জাবে আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেন। সাংবাদিকদের তিনি জানান, আধা সামরিক বাহিনীর সদস্যরা পাঞ্জাবে ৬০ দিন থাকবেন। পাঞ্জাবের যেকোনো জায়গায় অভিযান চালানোর এখতিয়ার তাঁদের দেওয়া হয়েছে।

টিএলপির কর্মী-সমর্থকদের রাজধানী ইসলামাবাদে আসা ঠেকাতে সরকার শক্তি প্রয়োগ করবে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী। তিনি জানান, সরকার টিএলপিকে রাজনৈতিক দল হিসেবে দেখবে না। তাদের সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে দেখা হবে। টিএলপিকে ইতিমধ্যে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

চলতি বছরের এপ্রিলে টিএলপির নেতা সাদ রিজভিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ ও মুক্তির দাবিতে দেশটির কয়েকটি বড় শহরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। পাশাপাশি তারা ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এনে পাকিস্তানে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের বহিষ্কার দাবি করে। পুলিশ জানায়, এসব দাবি নিয়ে গতকাল টিএলপির নেতা-কর্মী-সমর্থকেরা রাজধানী ইসলামাবাদের দিকে মিছিল নিয়ে অগ্রসর হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তখন সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে।