পাকিস্তানে মিছিলে বোমা বিস্ফোরণ, হতাহত ২০
পাকিস্তানে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে বের করা এক মিছিলে বোমা বিস্ফোরণে অন্তত ৬ জন নিহত ও ১৪ জন আহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার বিকেলে দেশটির দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ আফগান সীমান্তবর্তী বেলুচিস্তানের শহর ছামানের মুরঘি বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
পাকিস্তানের গণমাধ্যম ডনের খবরে বলা হয়, দেশটির ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল জমিয়াতে উলেমা-ই-ইসলাম-নাজারাতি (জেইউআই) ওই কর্মসূচির আয়োজন করে। মোটরসাইকেলের সঙ্গে বাঁধা ছিল বোমাটি। আহতদের মধ্যে জেইউআইয়ের নেতা আবদুল কাদের লুনি ও কারি মেহেরুল্লাহ রয়েছেন। ঘটনার পরপর ওই এলাকায় লোকজনের আসা–যাওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়।
বেলুচিস্তান প্রাদেশিক সরকারের মুখপাত্র লিয়াকত শাহওয়ানি বলেন, আহতদের মধ্যে ১০ জনকে ছামানের ডিস্ট্রিক্ট হেডকোয়ার্টার্স (ডিএইচকিউ) হাসপাতালের ভর্তি করা হয়েছে। অন্য ব্যক্তিদের কুয়েটায় নেওয়া হয়েছে। শাহওয়ানি এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, সন্ত্রাসীরা বেলুচিস্তানের শান্তি নষ্ট করতে চায়। এই মিছিলে হামলাকারীরা ইসরায়েলের আগ্রাসনের সমর্থনকারী।
বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী জাম কামাল খান আলিয়ানি এ ঘটনায় নিন্দা জানান ও নিহতদের পরিবারের প্রতি শোক প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, সন্ত্রাসীদের কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না। কাউকে প্রদেশের আইনশৃঙ্খলার ব্যত্যয় ঘটাতে দেওয়া হবে না।
মাসখানেক আগে বেলুচিস্তানের রাজধানী কোয়েটায় এক হোটেলের পার্কিংয়ে শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণে অন্তত ৫ ব্যক্তি নিহত ও ১২ জন আহত হন। বিশেষ করে গত বছর থেকে এই প্রদেশে সহিংসতা বেড়েছে। গত বছর ১৩ এপ্রিল সেখানে শহীদ পুলিশদের স্মরণে করা এক ফুটবল টুর্নামেন্টে বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ১২ জন আহত হন। এরপর ১৬ অক্টোবর সন্ত্রাসীদের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে সাতজন বেলুচিস্তান ফ্রন্টিয়ার ক্রপসের (এফসি) সদস্য ও সাতজন নিরাপত্তাকর্মী নিহত হন।
ঘটনার সময় ওই নিরাপত্তাকর্মীরা বেলুচিস্তান সরকারের মালিকানাধীন তেল ও গ্যাস কোম্পানির গাড়িবহর পাহারা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। একই বছরের অক্টোবর মাসে এক বিস্ফোরণে কমপক্ষে আট ব্যক্তি আহত হন। তাঁদের মধ্যে পুলিশ এফসি সদস্যও ছিলেন। এর আগে ২০১৯ সালের এপ্রিলে বন্দুকধারীদের হামলায় কমপক্ষে ১৪ ব্যক্তি নিহত হন। যাঁদের মধ্যে দেশটির নৌ, বিমান ও কোস্টগার্ডের ১১ সদস্য ছিলেন।