পাকিস্তান শিগগিরই ভারতে উৎপাদিত টিকা পাচ্ছে

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত ‘কোভিশিল্ড’ টিকা গ্যাভির মাধ্যমে পাবে পাকিস্তান
ছবি: এএফপি

পাকিস্তান শিগগিরই ভারতে উৎপাদিত করোনার টিকা পেতে যাচ্ছে। সূত্রের বরাত দিয়ে আজ বুধবার এনডিটিভি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

সূত্র জানিয়েছে, গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন অ্যান্ড ইমিউনাইজেশনের (গ্যাভি) অধীনে ‘মেইড ইন ইন্ডিয়া’ টিকা পাবে পাকিস্তান।

দরিদ্র দেশগুলোতে টিকাপ্রাপ্তি বাড়ানোর সরকারি-বেসরকারি বৈশ্বিক স্বাস্থ্যগত অংশীদারত্ব হলো গ্যাভি।

ভারত এখন পর্যন্ত তিনটি শ্রেণিতে বিশ্বের প্রায় ৬৫টি দেশে টিকা সরবরাহ করেছে। এই শ্রেণি তিনটি হলো গ্লোবাল ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স, উপহার-সহায়তা ও বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি।

পাকিস্তান বাদে ভারতের সব প্রতিবেশী দেশ কোনো না কোনোভাবে ভারতে তৈরি টিকা পেয়েছে। বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, নেপাল, মালদ্বীপ তাদের জনগণকে ভারত থেকে পাওয়া টিকা দিচ্ছে।

গত বছর ইউনাইটেড গ্যাভি অ্যালায়েন্স বিশ্বের প্রায় ১৯০টি দেশের ২০ শতাংশ মানুষের জন্য বিনা মূল্যে টিকা সরবরাহ করার অঙ্গীকার করে। এই দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তানও রয়েছে।

ভারতে এখন পর্যন্ত করোনার দুটি টিকা অনুমোদন পেয়েছে। একটি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা। যেটি ‘কোভিশিল্ড’ নামে উৎপাদন করছে ভারতের পুনেভিত্তিক সেরাম ইনস্টিটিউট। অন্যটি স্থানীয়ভাবে ভারত বায়োটেকের তৈরি ‘কোভ্যাক্সিন’ টিকা।

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত কোভিশিল্ড টিকা গ্যাভির মাধ্যমে পাকিস্তান পাবে বলে উভয় দেশের গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়।

ঠিক কী পরিমাণ কোভিশিল্ড টিকা ভারত থেকে পাকিস্তান পেতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে এই সংখ্যা ৪ কোটি ৫০ লাখ ডোজ হতে পারে। এই টিকা পাকিস্তানকে বিনা মূল্যে দেবে গ্যাভি।

পাকিস্তানের দ্য নেশন পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্চেই কোভিশিল্ড টিকার প্রথম চালান পাকিস্তানে পৌঁছাতে পারে।

পাকিস্তান গত মাসে প্রথম চীন থেকে করোনার টিকা পায়। তারপর তারা টিকাদান কার্যক্রম শুরু করে।

পাকিস্তানে এখন পর্যন্ত প্রায় ছয় লাখ মানুষ করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন সাড়ে ১৩ হাজার মানুষ।