'সামরিক-বেসামরিক সম্পর্ক উন্নয়নেই এই নিয়োগ'

সন্ত্রাসবাদবিরোধী যুদ্ধ, ভারতের সঙ্গে কাশ্মীর নিয়ে সংঘাতসহ বিভিন্ন ইস্যুতে পাকিস্তানের সামরিক-বেসামরিক সম্পর্ক কিছুদিন ধরেই নাজুক অবস্থায় রয়েছে। দুই পক্ষের সম্পর্ক জোড়া লাগানোর জন্যই লেফটেন্যান্ট জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়াকে নতুন সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। এ অভিমত আগে কামার বাজওয়ার ঊর্ধ্বতন পদে ছিলেন এমন এক জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তার।
বিদায়ী সেনাপ্রধান রাহিল শরিফ অবসরে যাওয়ার ঘোষণার পর থেকে এই পদে কে আসবেন, তা নিয়ে নানা ভাবনা ও গুঞ্জন চলছিল পাকিস্তানে। গত দুই দশকের মধ্যে রাহিলই প্রথম পাকিস্তানি সেনাপ্রধান, যিনি যথাসময়ে অবসরে গিয়েছেন। মেয়াদ বাড়ানোর চেষ্টা করেননি।
জাভেদ বাজওয়ার নিয়োগ পাকিস্তানে তাৎক্ষণিকভাবে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন আনবে বলে মনে করা হচ্ছে না। তবে ভারত ও আফগানিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে এবং দেশের অভ্যন্তরে সামরিক-বেসামরিক সম্পর্ক ভালো করার ক্ষেত্রে এই নিয়োগ অনুকূল অবস্থা সৃষ্টি করবে।
নবনিযুক্ত সেনাপ্রধান জেনারেল বাজওয়া ও জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান লেফটেন্যান্ট জেনারেল জুবায়ের মেহমুদ হায়াত কারোরই প্রত্যক্ষ যুদ্ধক্ষেত্রে কাজ করার ও নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা নেই। তবে বাজওয়া গুরুত্বপূর্ণ রাওয়ালপিন্ডি দশম কোরে ছিলেন। এখান থেকেই কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) নিয়ন্ত্রণ করে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। তাঁর এ অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে।
জেনারেল বাজওয়ার সাবেক ওই কমান্ডার বলেন, নতুন সেনাপ্রধান সামরিক-বেসামরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে উদারপন্থী চিন্তাধারায় বিশ্বাসী। তিনি মনে করেন, বেসামরিক ক্ষেত্রে সামরিক হস্তক্ষেপ দেওয়া উচিত নয়।
রাহিল শরিফের সময়ে সামরিক-বেসামরিক সম্পর্ক কিছুটা ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। বেসামরিক ক্ষেত্রেও ঘন ঘন সামরিক হস্তক্ষেপ আসত।
তবে সন্ত্রাসবাদবিরোধী লড়াইয়ে পাকিস্তান সরকারের আগের নীতিগত অবস্থান অক্ষুণ্ন থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। কেননা, বাজওয়া সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে নিজের দৃঢ় অবস্থান আগেই পরিষ্কার করেছেন।