প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকাকালে তোশাখানা থেকে রাষ্ট্রীয় উপহার কেনা-বিক্রির তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে ইমরান খানের বিরুদ্ধে। তবে তিনি এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।

তোশাখানা–সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে বারবার অনুপস্থিত থাকায় গত সোমবার ইমরান খানের বিরুদ্ধে দ্বিতীয়বারের মতো অজামিনযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন বিচারক জাফর ইকবাল। ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করে ১৮ মার্চ আদালতে হাজির করতে পুলিশকে নির্দেশ দেন আদালত।

আদালতের নির্দেশের পরই হেলিকপ্টারে ইসলামবাদ পুলিশের একটি দল লাহোরে পৌঁছায়। গত মঙ্গলবার তারা ইমরান খানকে গ্রেপ্তারে তাঁর লাহোরের জামান পার্কের বাড়ি ঘিরে অবস্থান নেয়। গ্রেপ্তার ঠেকাতে পিটিআই নেতা-কর্মীরা রাজপথে নেমে আসেন। জামান পার্কে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করতে যাওয়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে তাঁরা সংঘর্ষে জড়ান। এ সময় রাজধানী ইসলামাবাদ, করাচি ও পেশোয়ারে বিক্ষোভ–সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।

তোশাখানা মামলায় জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বাতিল চেয়ে গতকাল বুধবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টে আবেদন করেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। তবে হাইকোর্ট তাঁর আবেদন নাকচ করে দেন। একই সঙ্গে ১৮ মার্চ তিনি আদালতে হাজির হবেন, এই মর্মে মুচলেকা দেওয়ার নির্দেশ দেন।

আজ সকালে জাফর ইকবালের আদালতে এই মামলার বিষয়ে শুনানি শুরু হয়। শুনানিতে ইমরান খানের পক্ষে তাঁর আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। শুনানির একপর্যায়ে আদালত গ্রেপ্তার এড়াতে ইমরান খানকে আত্মসমর্পণের প্রস্তাব দেন।