আর্থিক সংকটে জেরবার পাকিস্তান করাচি বন্দর ছাড়ার কথা ভাবছে

পাকিস্তানের করাচি বন্দর সংযুক্ত আরব আমিরাতের হাতে তুলে দেওয়ার কথা চলছে
ফাইল ছবি: রয়টার্স

আর্থিক সংকটে ধুঁকতে থাকা পাকিস্তান সরকার করাচি বন্দর সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) হাতে তুলে দেওয়ার কথা ভাবছে। সংকট মোকাবিলায় জরুরি আর্থিক তহবিল বাড়াতে গত বছর একটি আইন করেছিল পাকিস্তান। ওই আইনের আওতায় বন্দরটি হস্তান্তরের কথা চলছে।

জাপানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নিক্কেই এশিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, করাচি বন্দর হস্তান্তরের বিষয়টি আলোচনা করতে গত সপ্তাহে একটি কমিটি গঠনের ঘোষণা দিয়েছে পাকিস্তানের অর্থ মন্ত্রণালয়। তবে বন্দরটি আরব আমিরাতের কাছে বিক্রি করা হবে, নাকি এর পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হবে—এমন অনেক তথ্য জানা যায়নি।

উত্তর আরব সাগরের কূলে অবস্থিত করাচি বন্দর। ওমান উপসাগরের পূর্বের এই বন্দর পাকিস্তানে সবচেয়ে বড়। সাগরপথে দেশটির প্রায় ৬০ শতাংশ পণ্য আনা–নেওয়া করতে এই বন্দর ব্যবহার করা হয়। বন্দরটি হস্তান্তরে চুক্তির মাধ্যমে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়ন করতে চাইছে ইউএই।

মূল্যস্ফীতি ও সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যার জেরে নড়বড়ে পাকিস্তানের অর্থনীতি। দেশটি দেউলিয়া হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা অনেক বিশেষজ্ঞের। এমন পরিস্থিতিতে সম্প্রতি চীনের কাছ থেকে ১০০ কোটি ডলার ঋণ নিয়েছে পাকিস্তান। এই অর্থ দেশটির মোট বিদেশি ঋণের মাত্র ৩০ শতাংশের মতো। সংকট কাটাতে রাশিয়ার কাছ থেকে কম দামে জ্বালানি তেলও কিনছে ইসলামাবাদ।

অর্থনৈতক দুর্দশায় ভুগছে দক্ষিণ এশিয়ার আরেক দেশ শ্রীলঙ্কাও। বিদেশি ঋণের চাপে নিজেদের হাম্বানটোটা বন্দর চীনের কাছে ৯৯ বছরের জন্য ইজারা দিতে বাধ্য হয়েছে দেশটির সরকার। ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ শ্রীলঙ্কাকে গত বছর দেউলিয়া ঘোষণা করা হয়।