পাকিস্তানের পুলিশ স্টেশন থেকে অস্ত্র লুট করে পালাল জঙ্গিরা

ওয়ানা পুলিশ স্টেশনের ক্ষতিগ্রস্ত দেয়াল
ছবি: টুইটার

পাকিস্তানের দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের ওয়ানায় একটি পুলিশ স্টেশনে হামলা ও জিম্মিদশা শেষে অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট করে জঙ্গিরা পালিয়েছে। স্থানীয় পুলিশের বরাতে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।

রেহমান ওয়াজির নামের এক পুলিশ সদস্য বলেন, গত সোমবার দিবাগত রাত একটার দিকে জঙ্গিরা রকেট লাঞ্চার এবং ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পুলিশ স্টেশনটিতে হামলা চালায়। হামলার সময় ওয়াজিরও পুলিশ স্টেশনটির ভেতরে অবস্থান করছিলেন।

ডনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রেহমান ওয়াজির বলেছেন, প্রায় ৫০ জন জঙ্গি পুলিশ স্টেশনটির সামনের ফটক বোমা মেরে উড়িয়ে দিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়ে। সেখানে তখন ২০ জনের মতো পুলিশ সদস্য অবস্থান করছিলেন। পুলিশ সদস্যরা কিছুক্ষণ জঙ্গিদের প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। এরপর তাঁদের জিম্মি করা হয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, রাতের অন্ধকারে প্রচুর রকেট ও গ্রেনেড ছোড়া হয়েছে।

হামলা শেষে জঙ্গিরা অস্ত্রশস্ত্র লুট করে একটি পুলিশ ভ্যান নিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় পুলিশ বলছে, জঙ্গিরা শুধু ৮টি একে-৪৭ রাইফেল নিয়ে পালিয়েছে।

প্রায় ৫০ জন জঙ্গি রকেট লাঞ্চার নিয়ে ভবনটিতে হামলা চালিয়েছিল। সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, হামলায় এক পুলিশ কনস্টেবল আহত এবং এক সন্দেহভাজন জঙ্গি নিহত হয়েছেন।

আহত পুলিশ কনস্টেবলের নাম ইলিয়াস। তাঁকে চিকিৎসার জন্য ওয়ানা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

সূত্র বলছে, পাকিস্তানের আধা সামরিক বাহিনী ফ্রন্টিয়ার কর্পস (এফসি)-এর সঙ্গে গোলাগুলিতে ওই সন্দেহভাজন জঙ্গি নিহত হয়েছেন। পরে বাগিচা এলাকা থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

আরও পড়ুন

ফন্ট্রিয়ার কর্পসের সদস্যরা জঙ্গিদের কাছ থেকে পুলিশ স্টেশনটির নিয়ন্ত্রণ নেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশের কাছে থানার নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করা হয়।

পুলিশ বলেছে, আশপাশের এলাকা থেকেও তাদের সদস্যদের এনে ওয়ানায় মোতায়েন করা হয়েছে। এখন ওই পুলিশ স্টেশনে ১০০ জনের মতো পুলিশ সদস্য অবস্থান করছেন।

থানায় হামলা হওয়ার পর ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
এদিকে এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, গতকাল পাকিস্তানের টাংক জেলার একটি জলাধার থেকে শিরশ্ছেদ করা দুটি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তারা বলেছেন, নিহত ব্যক্তিরা কানাজাই গ্রামের বাসিন্দা। মৃতদেহগুলোর সঙ্গে একটি বার্তা লেখা কাগজও পাওয়া গেছে। সেখানে লেখা, ‘এর মধ্য দিয়ে সবার প্রতি তালেবান বার্তা দিচ্ছে যে গুপ্তচরবৃত্তির পরিণতি হবে এমন মৃত্যু।’