পাকিস্তানে নির্বাচনের দিনে সহিংসতায় পুলিশ সদস্যসহ নিহত ৫

পাকিস্তানে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সতর্ক অবস্থানে পুলিশ সদস্যরাছবি: রয়টার্স

পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের দিনে আজ বৃহস্পতিবার আলাদা দুই হামলার ঘটনায় কমপক্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে এসব ঘটনা ঘটেছে।

পাকিস্তানে আজ স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে সাধারণ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়। স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে। ইতিমধ্যে পাখতুনখাওয়ার কয়েকটি জায়গায় সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে।

ডেরা ইসমাইল খান জেলার পুলিশপ্রধান রউফ কাইসরানি বলেন, কুলাচি এলাকায় পুলিশের একটি টহল দলকে লক্ষ্য করে গুলি ও বোমা হামলা চালানো হয়। এতে চার পুলিশ সদস্য নিহত হন।

 প্রায় ৪০ কিলোমিটার উত্তরের দিকে ট্যাংক শহরে নিরাপত্তা বাহিনীর একটি গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছে বন্দুকধারীরা। এতে একজন নিহত হয়েছেন।

মাকরান ডিভিশনের কমিশনার সাইদ আহমেদ উমরানি রয়টার্সকে বলেন, বেলুচিস্তান প্রদেশের বিভিন্ন জায়গায়ও গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে এসব ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।

এর আগে গতকাল বুধবার বেলুচিস্তান প্রদেশে ভয়াবহ বিস্ফোরণে প্রায় ৩০ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ দেখা দেয়। জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিকান্দার সুলতান রাজা চার প্রদেশের মুখ্য সচিব এবং পুলিশের মহাপরিদর্শকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিরাপত্তা বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রাখার জন্য তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আজ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানজুড়ে মুঠোফোন সেবা সাময়িক স্থগিত রাখা হয়েছে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘অবনতিশীল নিরাপত্তা পরিস্থিতির’ কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

পাকিস্তানের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) সিকান্দার সুলতান রাজা বলেছেন, বুধবারের সহিংসতার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলো ইন্টারনেট ও মুঠোফোন সেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নির্বাচন কমিশন এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করবে না।