পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের দুর্নীতি মামলায় গতি
পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের বিরুদ্ধে পুরোনো দুর্নীতি মামলা চালু করতে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট আদেশ দেওয়ার পর সেই প্রক্রিয়া হাতে নিয়েছে ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো (এনএবি)। ইসলামাবাদে তাদের আদালতে পুরোনো দুর্নীতি মামলার নথি পাঠানো হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের পুরোনো দুর্নীতি মামলার বিচারপ্রক্রিয়া গতি পেতে যাচ্ছে।
এ নিয়ে একটি আদেশ দিয়েছেন এনএবি আদালতের বিচারক মুহাম্মদ বশির। তিনি ওই আদালতের রেজিস্ট্রারকে নির্দেশ দিয়েছেন, পুরোনো মামলাগুলো যাতে পর্যালোচনা করা হয় এবং তাঁর সামনে উপস্থাপন করা হয়। একই সঙ্গে বিভিন্ন ব্যক্তি, সরকারি বিভিন্ন কার্যালয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে যেসব মামলা রয়েছে, সেগুলোর আইনি ভিত্তি যাচাই করতে আদালতের প্রসিকিউটরকেও নির্দেশ দিয়েছেন মুহাম্মদ বশির।
এর আগে এনএবি আদালতে মামলাগুলো সংক্ষিপ্ত বিবরণী উপস্থাপন করেছিলেন আদালতের প্রসিকিউটর সোহাইল আরিফ ও সরদার মুজাফফর। এ সময় প্রসিকিউটরের উদ্দেশ্যে বিচারক বশির বলেন, ‘আপনাকে এটা বলতে হবে কোন মামলাগুলো শোনা যেতে পারে, আর কোন মামলাগুলোর শুনানি হবে না।’
বিচারকের এ কথার পরিপ্রেক্ষিতে এনএবির আরেক প্রসিকিউটর আদালতকে বলেন, পুরোনো মামলাগুলোর বিচারের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট যে আদেশ দিয়েছেন, তা নিশ্চিত করতে এনএবি কাজ করবে এবং আদালতে সব নথি উপস্থাপন করবে।
এর আগে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান দুর্নীতিবিরোধী আইনে আনা সংশোধনী চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। ওই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট ১৫ সেপ্টেম্বর একটি রায় দেন। ওই রায়ের কারণে পুরোনো দুর্নীতি মামলাগুলো সচল করার সুযোগ তৈরি হয়।
সুপ্রিম কোর্টের এ রায়ের ফলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ, সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানিকে আবারও জিজ্ঞাসাবাদ করার সুযোগ তৈরি হয়। ধারণা করা হচ্ছে, এনএবি আদালত সেই বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছেন।
বিদ্রোহের পরিকল্পনায় ইমরান
এদিকে দ্য নিউজ-এর খবরে বলা হয়েছে, কারাবন্দী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রে অভিযোগ আনা হয়েছে। গত ৯ মে পাকিস্তানে পিটিআই নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনী সংঘর্ষের ঘটনায় এ অভিযোগ আনা হয়েছে। গত বুধবার এ নিয়ে লাহোরে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন পুলিশের এসএসপি আনুশ মাসুদ। তিনি বলেন, তাঁদের কাছে নথি আছে সেদিন বিদ্রোহ উসকে দেওয়া ও পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন ইমরান খান।