ধর্ম অবমাননার অভিযোগে পাকিস্তানে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা
‘ধর্ম অবমাননার’ অভিযোগ তুলে পাকিস্তানে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন বিক্ষুব্ধ জনতা। পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের এক সমাবেশে এ ঘটনা ঘটে বলে রোববার জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা।
গতকাল শনিবার দেশটির উত্তর–পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনখাওয়ার মারদান শহরের সাওয়াল ধের এলাকায় ওই ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করার এ ঘটনা ঘটে। আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী এ প্রদেশটি ‘অতি রক্ষণশীল’ হিসেবে পরিচিত।
পুলিশ জানিয়েছে, গণপিটুনিতে নিহত ওই ব্যক্তির নাম নিগার আলম। ইমরান খানের দল পাকিস্তান–তেহরিক–ইনসাফ এর সমাবেশ শেষে মোনাজাতের কথা বলা হয় তাঁকে। কিন্ত এ নিয়ে নিগার আলমের মন্তব্য উপস্থিত জনতাকে ক্ষুব্ধ করে। এই পরিস্থিতিতে ওই ব্যক্তি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। তবে ক্ষুব্ধ জনতা একজন আত্মীয়ের বাড়িতে তাঁকে খুঁজে পায়।
জেলা পুলিশপ্রধান নাজিব–উর–রহমান বলেন, ‘ক্ষুব্ধ জনতার মধ্যে কয়েক জন সীমানাপ্রাচীর টপকে বাড়িতে ঢোকেন। এরপর নিগার আলমকে লাঠি–সোঁটা দিয়ে পেটাতে শুরু করেন। খবর পেয়ে পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্ত লোকজন এত ক্ষুব্ধ ছিল যে তাঁদের আটকানো পুলিশের জন্য কঠিন ছিল। একপর্যায়ে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়।’
একদল ক্ষুব্ধ জনতা এক ব্যক্তিকে পেটাচ্ছেন এমন একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা যায়, একজন ব্যক্তিকে পেটাচ্ছেন উন্মত্ত জনতা। পুলিশ সদস্যরা তাঁদের থামানোর বৃথা চেষ্টা করছে।
এ ঘটনা যখন ঘটে তখন ইমরান খান সমাবেশস্থলে ছিলেন না। বিষয়টি নিয়ে ইমরানের দলের কেউ মন্তব্যও করেননি।
সংখ্যালঘুর অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন সেন্টার ফর সোশ্যাল জাস্টিস–এর হিসাবে, পাকিস্তানে ১৯৮৭ সাল থেকে দুই হাজারের বেশি মানুষের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ ওঠে। এর মধ্যে অন্তত ৮৮ জন গণপিটুনিতে প্রাণ হারান।