ধূসর তালিকা থেকে বাদ পাকিস্তান, কালো তালিকায় মিয়ানমার

ফ্রান্সের প্যারিসে এফএটিফের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে এসব সিদ্ধান্ত হয়
ছবি: টুইটার

ধূসর বা ঝুঁকিপূর্ণ তালিকা থেকে পাকিস্তানকে বাদ দিয়েছে অর্থপাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক সংস্থা ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্কফোর্স (এফএটিএফ)। অন্যদিকে মিয়ানমারকে ‘কালো তালিকা’ তথা উচ্চঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। খবর ডন ও এএনআইয়ের।

ফ্রান্সের প্যারিসে এফএটিএফের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন শেষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে পাকিস্তানকে ধূসর তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার কথা জানিয়ে এফএটিএফের সভাপতি রাজা কুমার বলেন, দেশটি ২০১৮ সাল থেকে ধূসর তালিকায় ছিল।

তিনি বলেন, দেশটির দুটি যুগপৎ কর্মপরিকল্পনা ছিল। পাকিস্তান কর্তৃপক্ষের ব্যাপক কর্মতৎপরতার পর তারা ওই কর্মপরিকল্পনার অধিকাংশই বাস্তবায়ন করতে পেরেছে।

এফএটিএফের সভাপতি বলেন, আগস্টের শেষ দিকে সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়েছিল সংস্থাটির টাস্কফোর্স। পরিদর্শক দলটি পাকিস্তানি নেতৃত্বের কাছ থেকে দৃঢ় প্রতিশ্রুতি, টেকসই সংস্কার এবং ভবিষ্যতে আরও ভালো করার অঙ্গীকারের বিষয়টি যাচাই করে দেখেছেন।

সন্ত্রাসে অর্থায়ন মোকাবিলায় পাকিস্তানের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, এ জন্য পাকিস্তানকে বাড়তি নজরদারি (ধূসর) তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

এএনআই জানিয়েছে, মিয়ানমারকে কালো তালিকা তথা উচ্চঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় রেখেছে অর্থপাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক সংস্থাটি। মিয়ানমারে সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ও লেনদেনে বাড়তি সতর্কতা মেনে চলতে সদস্যদেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে এফএটিএফ।

সাধারণত অর্থপাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়নে উচ্চঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোকে কালো তালিকায় রাখে এফএটিএফ। মিয়ানমার ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে কৌশলগত ঘাটতিগুলো মোকাবিলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। দেশটির কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের সময়সীমা ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে শেষ হয়।

চলতি বছরের জুনে এফএটিএফ অক্টোবরের মধ্যে মিয়ানমারকে দ্রুত দেশটির কর্মপরিকল্পনা সম্পন্ন করার আহ্বান জানায়। অন্যথায় মিয়ানমারের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ও লেনদেনে বাড়তি সতর্কতা মেনে চলতে সদস্যদেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হবে বলে সতর্ক করেছিল সংস্থাটি।