গোপন নথি ফাঁসের মামলায় ইমরান খানকে খালাস

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। লাহোর, পাকিস্তান। ১৭ মার্চ, ২০২৩ফাইল ছবি: রয়টার্স

রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ফাঁসের মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশিকে খালাস দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। আজ সোমবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আমের ফারুক ও বিচারপতি মিয়াঁগুল হাসান আওরঙ্গজেবের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতের আদেশে বলা হয়েছে, ‘যদি অন্য কোনো মামলায় কারাবন্দী না থাকেন, তাহলে অবিলম্বে তাঁদের মুক্তি দেওয়া হোক।’ তবে আরও একাধিক মামলায় কারাদণ্ড হওয়ায় পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা প্রধান ইমরান খান ও দলটির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান কুরেশি কারামুক্ত হচ্ছেন না।

শরিয়াহ আইন না মেনে বিয়ের অভিযোগে ইমরান খানকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এদিকে গত বছরের ৯ মে সহিংসতার মামলায় কুরেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি রিমান্ডে আছেন।

রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ফাঁসের মামলায় গত জানুয়ারি মাসে ইমরান খান ও কুরেশিকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। সেই রায়ের বিরুদ্ধে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে আপিল করেছিলেন তাঁরা।

এর আগে গত ৫ আগস্ট রাষ্ট্রীয় উপহার বিক্রির (তোশাখানা) মামলায় ইমরান খানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি আদালত। ইসলামাবাদ হাইকোর্ট সেই সাজাও স্থগিত করেছেন। এরপর সাজা বাতিল চেয়ে আবেদন করেন ইমরান খান। কিন্তু হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ তাঁর আবেদন নাকচ করে দেন।

এরও আগে গত জানুয়ারিতে তোশাখানাসংক্রান্ত পৃথক এক মামলায় ইমরান খানের ১৪ বছরের কারাদণ্ড হয়। এরপর গত এপ্রিলে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট সেই সাজাও স্থগিত করেন। শরিয়াহ আইন মেনে বিয়ে না করার মামলায় গত ফেব্রুয়ারিতে ইমরান খানকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি আদালত।

রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ফাঁসের মামলায় ইমরান খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় কূটনৈতিক একটি তারবার্তা নিজের কাছে রেখে দেন। পরে সেই তারবার্তা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেই নথি ফাঁস করার অভিযোগে ইমরানের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। ইমরান খানের অভিযোগ, ওই তারবার্তায় তাঁর সরকারকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করতে যুক্তরাষ্ট্রের হুমকির বিষয়টি ছিল।

রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ফাঁসের মামলা থেকে ইমরান খান ও কুরেশিকে খালাস দেওয়ার ঘটনাকে স্বাগত জানিয়েছেন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের বিরোধীদলীয় নেতা ওমর আইয়ুব। একই সঙ্গে ইমরান খান ও কুরেশিকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি। ইসলামাবাদ হাইকোর্টের আদেশের প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘জাতি শিগগির ইমরান খানকে জেলের বাইরে দেখবে।’