ভূমিকা ‘সন্তোষজনক’ নয়, তাই দলের চেয়ারম্যান থাকছেন না গহর: পিটিআই নেতা মারওয়াত

ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের চেয়ারম্যান গহর আলী খানছবি: রয়টার্স

পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফ (পিটিআই) নেতা শের আফজাল মারওয়াত গতকাল শুক্রবার বলেছেন, ‘অসন্তোষজনক’ ভূমিকার কারণে গহর আলি খানকে দলীয় চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। গতকাল জিও নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।

এর আগের দিন গত বৃহস্পতিবার গহর ঘোষণা করেন, পিটিআইয়ের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বপালনের জন্য আলি জাফরকে মনোনীত করা হয়েছে। আগামী ৩ মার্চ দলের অভ্যন্তরীণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

বিভিন্ন মামলায় সাবেক পিটিআই প্রধান ইমরান খান কারাগারে যাওয়ার পর গহর আলি খানকে দলের প্রধান নির্বাচিত করা হয়। সম্প্রতি পিটিআইয়ের দলের অভ্যন্তরীণ নির্বাচনগুলোকে অবৈধ ঘোষণা করেন পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট। অভ্যন্তরীণ নির্বাচন বাতিল করার কারণে গহর আলি খান আর পিটিআই চেয়ারম্যান নেই। এক মাসের বেশি সময় ধরে পিটিআইয়ের শীর্ষ পদটি শূন্য পড়ে আছে। নতুন নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নতুন নেতা নির্বাচনের প্রক্রিয়া চললেও এবার গহর আলি খান সে তালিকায় নেই।

জিও নিউজের সঙ্গে আলাপকালে পিটিআই নেতা মারওয়াত বলেন, ‘অদক্ষতা ও দুর্বল ভূমিকাই গহরকে চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণের কারণ। ব্যারিস্টার গহর একজন ভদ্রলোক হলেও তার কার্যক্ষমতা সন্তোষজনক ছিল না।’

এই পিটিআই নেতা মনে করেন, দলীয় কর্মীদের প্রত্যাশা পূরণে গহর ব্যর্থ হয়েছেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একটি দলীয় কার্যালয় পরিচালনার দায়িত্ব সামলাতে গেলে ওই ব্যক্তিকে সব সময় সক্রিয় থাকতে হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তা ঘটেনি।

সাধারণ নির্বাচনের পর দলীয় নেতৃত্ব কোনো প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখতে পারেনি। নির্বাচনের পর গহরেরই দলের নেতৃত্বে থাকা উচিত ছিল। কিন্তু তিনি ব্যর্থ হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার পিটিআইয়ের শীর্ষ পদে মনোনীত ব্যক্তির নাম ঘোষণা করতে গিয়ে গহর বলেন, ‘এবার দলের চেয়ারম্যান হিসেবে আমাদের মনোনীত প্রার্থী হলেন আলি জাফর। আর মহাসচিব প্রার্থী হলেন ওমর আইয়ুব।’
গহর বলেন, জাফর যেন দলের পরবর্তী চেয়ারম্যান হন, তা নিশ্চিত করতে সবার সাধ্যমতো চেষ্টা করা উচিত।

পিটিআইয়ের মুখপাত্র রউফ হাসান দলের চেয়ারম্যান এবং কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক পর্যায়ে দলীয় কমিটি গঠনের জন্য ৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছিলেন। তবে পরে দলের পক্ষ থেকে নির্বাচন স্থগিত করা হয়।

পিটিআইয়ের নতুন সূচি অনুযায়ী, দলের অভ্যন্তরীণ নির্বাচনে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক প্রার্থীদের ২৩ ও ২৪ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে। যাচাই–বাছাইয়ের কাজ হবে ২৫ ফেব্রুয়ারি।

মনোনয়নপত্র নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হবে ২৭ ফেব্রুয়ারি। আর আগামী ৩ মার্চ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও প্রাদেশিক সচিবালয়ে ভোটাভুটি হবে।